1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
Title :
চীনের অর্থায়নে উপহারের হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে নীলফামারীতে স্থান পরিদর্শন রংপুরে সাংবাদিকদের সাথে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি’র মতবিনিময় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় বাঙলা কলেজের ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল রেজা বহিষ্কার! নীলফামারী ৩ আসনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আমতলীর আঠারোগাছিয়ায় স্কুল মাঠ দখলে নিল বিএনপি ওয়ার্ড সভাপতি গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা  ৮০ বছরের বৃদ্ধা নানীকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা নীলফামারীর জলঢাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিশাল জনসভা পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সাংগঠনিক সভা  অনুষ্ঠিত

মিঠাপুকুর জায়গীরহাটে ভোক্তার অভিযান, ভুয়া ডাক্তার মজনুর দোকানে সিলগালা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ১৫৯ Time View

শরিফা বেগম শিউলী,স্টাফ রিপোর্টার

রংপুরের মিঠাপুকুর জায়গীরহাটে দোকানের সামনে বড় করে সাইনবোর্ড টানানো। যেখানে লেখা রয়েছে ভাই ভাই ফার্মেসী ১ চেম্বার নং ৩। সাইন বোর্ডে লেখা ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার।করেন রোগীদের জ্ঞার্তাতে প্রতিদিন মাইকিং হাট বাজারে। পাওয়া যায় সকল প্রকার দেশী-বিদেশী ওষুধ সুলভ মূল্যে । ওষুধে বিফল হলে করেন ঝাড়ফুঁক কবিরাজি। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট বাজারে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে করেন ফার্মেসী সাথে ডাক্তারী। নাম ডাক্তার মজনু মিয়া। বাইরে থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকান মনে হলেও ভেতরে পাওয়া যায় জীবনকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। শুধু ওষুধেই সীমাবদ্ধ থাকেনি মজনু মিয়া। এই ফার্মেসীকে ওষুধের দোকান না বলে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের গুদাম বললেও ভুল হবে না।

বুধবার ১৯ জুলাই বিকেলে ভাই ভাই ফার্মেসী ১ এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের অফিস প্রধান ও উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ আজাহারুল ইসলাম।এছাড়াও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন।

অপর দিকে রাস্তার ধুলায় মোড়ানো বিভিন্ন ফার্মেসীর প্রতিটি তাকে সাজানো রয়েছে ওষুধ। অভিযানের শুরুতে প্রতিটি তাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খুঁজতে থাকেন সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন।যেখানেই হাত দেন মিলে যায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। প্রায় আধা ঘণ্টার অভিযানে দেখা যায়, দোকানের বেশির ভাগ ওষুধই মেয়াদোত্তীর্ণ। একটি ফার্মেসীতে এতো পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেখে ভোক্তা কর্মকর্তারাও অবাক। কোন ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়েছে এক থেকে দুই বছর আগে। তারপরেও বিক্রির জন্য তাকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

সাধারণভাবে মনে হতে পারে, তাহলে কি যা বিক্রি করা হয়, সবই মেয়াদোত্তীর্ণ। এমন প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি ফার্মেসী মালিক। নিজের ভুল স্বীকার করে নিজেকে শুধরে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণে রাখার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে ৫১ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ফার্মেসী মালিক ডাক্তার মজনু মিয়াকে না পাওয়ায় ফার্মেসী সিলগালা ও অন্যান্য দুইটি ফার্মেসীকে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া পাশের একটি কনফেকশনারীকে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অধিদপ্তরের অফিস প্রধান ও উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ আজাহারুল ইসলাম ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান করে তিনি বলেন, যেকোনো পণ্য ক্রয় করার সময় মেয়াদ আছে কি না একটু দেখে ক্রয় করবেন। যদি মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য দেখেন তাহলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করুন এবং প্রতিকার নিন। এছাড়া ১৬১২১ নাম্বারে কল দিয়েও যেকোনো ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং