ইত্তিজা হাসান মনির, বিশেষ প্রতিনিধি :
বরগুনা বেতাগী উপজেলার চান্দুখালি বাজারে নতুন ভূমি অফিসটি কিছুদিন আগে নির্মিত হলে হস্তান্তরের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান ট্রেডার্স। অফিসে গিয়ে দেখা গেছে ঠিকাদার কর্তৃক একটি হস্তান্তর পত্র পাঠানো হয়েছে ভূমি অফিস ব্যবহারকারী বরাবর। এক পাশ্বে ঠিকাদারের স্বাক্ষর অন্য দিকে সহকারী প্রকৌশলীর স্বাক্ষর।
একজন ঠিকাদার বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা তুলে নেয়ার প্রবনতা আমাদের কাছে রয়েছে,কিন্তু একজন উপ- সহকারী প্রকৌশলী নিজ দায়ীত্ববোধ থেকে সরে এসে অসমাপ্ত কাজ লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী ব্যয় নির্মিত ভবন হস্তান্তর পত্রে আগেই সিগনেসার দিয়ে পাঠিয়ে দেয় সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।
ভবন নির্মাণের মাঝামাঝি পর্যায় নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করায় একবার ছাদ ভেঙ্গে নীচে পড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদের পানি চুষে ভিতর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
ভবন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী। ভবনের ভিতরে বিভিন্ন অংশে নিম্ন মানের সামগ্রীর কারনে খুলে খুলে নীচে পড়ছে।এতে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সমগ্র দেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দুখালি বাজারের এ ভূমি অফিসটি। প্রায় দু বছর আগে থেকে ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয় মেসার্স খান ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী মোঃ খলিলুর রহমান নামে ঠিকাদার নির্মাণ করছেন ভূমি অফিসটি। প্রথমবার ছাদ ঢালাই দেওয়ার সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে ভেঙ্গে পড়ে ভবনের প্রবেশদারের ছাদ।
ইতিমধ্যে ভূমি অফিসটি নির্মাণ করে হস্তান্তর পত্র পাঠানো হয়েছে অফিসের তহশিলদার মোঃ মহসিন মিয়ার বরাবর। একপাশে ঠিকাদারের স্বাক্ষর দেয়া আছে অন্যদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর স্বাক্ষর মাঝখানে স্বাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন চান্দখালী ভূমি অফিস ব্যবহারকারী (ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী দিয়ে তৈরীকৃত বাথরুমের দরজা সিটকিনী খুলে পরছে। উপরের ছাদ দিয়ে পানি পরার কারনে ভিজে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ক্ষোভের সাথে জানান সরকারের ৫২ লক্ষ টাকার কাজ হস্তান্তরের আগেই যদি এভাবে নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে তৈরীর কারনে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা এখানে কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবো। উপরের ছাদ দিয়ে পানি পরে বিদ্যুতের তার দিয়ে ফ্যান বেয়ে পানি নীচে পড়ছে।
তিনি বলেন বর্ষা মৌসুম না হলে হয়তো এই সমস্যা গুলো ধরাই যেতনা। এখানকার স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি অতীব দুঃখজনক,এভাবে চলতে থাকলে সরকারের শত বছরের প্রকল্প দশ বছর ও থাকবেনা।
এ ব্যাপারে মেসার্স খান ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা কাজ সঠিক ভাবে সম্পূর্ন করেছি কোথা দিয়ে কোন পানি পড়ছেনা।
বেতাগী উপজেলা এলজিইডি উপ সহকারী প্রকৌশলীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখতেছি।