নিজস্ব প্রতিবেদক: কাজি মাহাবুব আলম।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড নির্বাচনে প্রায় এক বছর নয় মাস আগে ১ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন মোঃ নুরুল হাসান তপু। পরে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই প্রার্থী। আদালতে মামলা দায়েরর দীর্ঘ ২১ মাস পর ভোট পুনঃগণনার মাধ্যমে ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়ে হয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মোঃ নুরুল হাসান তপু। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারকের সামনে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনা করে মোঃ নুরুল হাসান তপুকে বিজীয় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ১ ভোটের ব্যবধানে বৈদ্যুতিক পাখা মার্কার প্রার্থী নুরুল হাসান তপুকে পরাজিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নিকটতম প্রতিদন্ধী আপেল মার্কার প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনকে ১০৮৪ ভোট বৈধ ঘোষণা করে বিজয়ী করা হয়। নুরুল হাসান তপুকে ১০৮৩ ভোট দেখিয়ে পরাজিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে এক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল আপেল মার্কার প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনকে।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ওই বছরই হবিগঞ্জ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী নুরুল হাসান তপু। মামলায় ফলাফল পুনর্গণনার আবেদন করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কয়েক দফায় আদালতে ভোট পুনরায় গণনা করা হয়। বাদী ও বিবাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পুনরায় ভোট গণনায় নুরুল হাসান তপু ১২৯৬ ভোট বেশি পান। এরপর সোমবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সন্ধ্যায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এতে নুরুল হাসান তপু বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে বৈধ ভোট ১ হাজার ২৯৬টি এবং আপেল মার্কার প্রতীকের প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনের বৈধ ভোট ৭৬০টি বলে প্রকাশ করা হয়।
নুরুল হাসান তপু আদালত মানুষের শেষ ভরসাস্থল বলে জানান। আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।