এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে প্রতিদিন একের পর এক চলছে অভিযান। আতঙ্ক কাটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে এখন স্বস্তি বিরাজ করছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কালাইয়া ইউনিয়নে কোনও প্রকার চুরি ডাকাতি কিংবা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড একদমই ছিল না। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে জান-মাল নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। হঠাৎ করে কিছুদিন ধরে শান্তির কালাইয়া ইউনিয়নে অশান্তি বিরাজ করে। দেখা দেয় কালাইয়া ইউনিয়নে গভীর রাতে চুরি ডাকাতি। প্রকর আকার ধারণ করে চলে একের পর এক। কারও ঘরের দরজা জানালা বা গ্রিল কেটে বা তালা ভেঙে একদল মুখোশধারীর চলে দুর্ধর্ষ চুরি ডাকাতির নামে লুটপাট। আবার কারও গোয়াল ঘরে ঢুকে নিয়ে যায় গরু মহিষ। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রাতদিন যাপন করে।
এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা তার সঙ্গীদের নিয়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে শান্তির ঘুম হারাম করে রাতভর পাহারাদার হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে একের পর এক পাহারা দিয়ে আসছেন। এমন সময় চেয়ারম্যান কর্তৃক তার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দুর করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে আইন শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে মিটিং করেন। পরে থানা পুলিশ প্রশাসনও একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। এবং প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মেম্বারদের সমন্বয়ে ৮/১০ জনের একটি টিম গঠন করে শুরু হয় পাহারা। যাহার দরুন পিছু হটতে থাকে চুরি ডাকাতি অপরাধ। আবার পুনরায় শান্তি বিরাজ করছে মানুষের মাঝে।
এব্যাপারে পূর্ব কালাইয়ার বাসিন্দা মোঃ ছালেক রারী, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, সোহেল, কালাম, ফারুক সহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দুই এক জায়গায় চুরি ছ্যাচরামি হয়েছে তা শুনেছি কিন্তু হঠাৎ করে কালাইয়ার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বা মানুষ জন আতঙ্কে আতঙ্কিত হবে তা কখনোই ভাবিনি। তবে চেয়ারম্যান সাহেব যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন এবং নির্ঘুম রাত যাপন করে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন তা আসলেই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছেন। এটা চেয়ারম্যানের দূর্নাম বদনাম করার জন্য হয়তো একটা মহল কাজ করতে পারে। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেজন্য চেয়ারম্যান আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ রইল মাদক মুক্ত কালাইয়া ইউনিয়ন তার হস্তক্ষেপে তৈরি হোক।
মেম্বার কামাল, আলতাফ, জসিম, জালাল মোল্লা সহ অনেকে বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে একটি টিম গঠন করে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা চেয়ারম্যানের নির্দেশে কালাইয়া ইউনিয়ন থেকে সকল অপরাধ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছি এবং ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, আমার কালাইয়া ইউনিয়নের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এটাই আমার কামনা কিন্তু হঠাৎ একটি কুচক্রী মহল আমার ও আমার ইউনিয়নের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে কিভাবে আমার দূর্নাম বদনাম সহ আমার ইউনিয়নের মানুষ অশান্তিতে থাকতে পারে। যার দরুন বিভিন্ন ভাবে রাতের গভীরে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তাদের মনের বাসনা কোনও দিনই পূরণ হবে না। কারণ আমি সহ আমার সঙ্গীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি যাতে আমার ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ শান্তিতে বসবাস সহ ঘুমাতে পারে। পুলিশ প্রশাসনও রাত জেগে পাহারা সহ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কালাইয়া ইউনিয়ন কে সর্বোচ্চ ভালো রাখতে আমার সকল পর্যায়ের অপরাধ দমনে আমি বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, যেকোনো অপরাধ দমনে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আর কালাইয়া ইউনিয়ন কে অপরাধ থেকে বিদায় দিতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পুলিশি টহল জোরদার করেছি। একের পর এক পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।