ঢাকা জেলা প্রতিনিধি:
যুদ্ধের নাম বিক্রি করে বাজারে ছড়িয়ে পরছে ভয়ানক প্রতারণা আর এর উত্তাপকে পুঁজি করে দূর্নীতির জাল বিস্তার করছে অসাধু ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট। ফসল ফলাতে অতিরিক্ত খরচ করেও কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। অথচ এই ফসলকে কেন্দ্র করে চলছে মহা বানিজ্য। ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি হওয়ায় চওড়া মূল্য গুনতে হচ্ছে পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের। আর এর মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এ বানিজ্য ছড়িয়েছে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত।সাধারণ জনগণকে জিম্মি করার এক অপকৌশল চালিয়ে এরই মধ্যে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।এদিকে সাধারণ জনগণ কপালে ভাজ পরছে সংসার বুঝি এবার আর বাঁচানো যাবে না। যদিও কয়েক মাস ধরে দ্রব্য মূল্য সহনীয় পর্যায়ে বাড়তে থাকলেও এখন তা চলে গেছে সীমাহীন যন্ত্রনায়।বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষদের বাজারে যেতে হয় কঠিন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে। ফলে অতিরিক্ত চাপে শ্বাসকষ্ট বাড়ছে স্বল্প আয়ের মানুষদের। চাল,ডাল,তেল,মাছ,মাংস সব কিছুতেই যেন প্রতিযোগিতা করছে দাম বাড়ানোর।
চাল ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি,ডাল ১২০ টাকা, তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা,মুরগির মাংস কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা,মাছ বাজারে চলছে রাজত্ব, গরুর গোস্তো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা।শাকসবজি বাজারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা।১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজি। লাউ,কুমড়া, শসা,টমেটো, কাঁচা মরিচ, লেবু ইত্যাদি সবজির চওড়া মূল্য দেখে তৃষ্ণা আরো বেড়ে যাচ্ছে সাধারণ জনগণের।ফলের দোকানে যেতেই ভয় বেড়ে যায় আরো। সব ধরনের ফলের মূল্য ছুঁয়েছে আকাশ।বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল সরবরাহ করা হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছ বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এ ভাবে যে সিন্ডিকেট পরিচালিত হচ্ছে তা কি দেখার কেউ নাই? বানিজ্য মন্ত্রণালয় যদি সঠিক ভাবে বাজার মনিটরিং করে তাহলে সাধারণ জনগণ কে এমন সমস্যার ভিতর দিয়ে যেতে হতো না বলে অভিযোগ ও আক্ষেপ করেছেন সাধারণ জনগণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত