নাঈম ইসলাম (কিশোরগঞ্জ)
বাজারে গিয়ে জিনিস কেনার, বিশেষ করে মাংস কেনার, আগে সতর্ক হয়ে যান। কারণ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ভেজাল মাংস। তাজা মাংস ভেবে যা কিনে আনলেন তাও বাসি। খাদ্য কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখার জন্য যেনো কেউ নেই।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে, কটিয়াদী পৌর বাজারের বিভিন্ন মাংসের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফ্রিজে রাখা পচা-বাসি মাংস। শুধু ফ্রিজে রাখা নয় বিক্রি হচ্ছে রোগা ও অর্ধমৃত গরু ও খাসির মাংস, যা রাতের আধারের স্বল্প টাকায় কিনে কেটে এনে ফ্রিজে রেখে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে রাখায় সেগুলো ফ্যাকাসে রং ধারণ করেছে। ওইসব মাংস বের করে তাতে রং বা রক্ত লাগিয়ে টাটকা দেখানোর চেষ্টা করেছে এই অসাধুরা।
একজন মাংস ক্রেতা বলেন, মাংস কিনতে গেলে মনে হয় ডাকাতখানায় এসেছি। কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা করে মাংস কিনতে গেলে কেজি প্রতি তারা ২০০-৩০০ গ্রাম নষ্ট মাংস দিবেই,বাড়িত নিয়ে আসলে ধোয়ার পরে দেখা যায় সেটার ভিতরে রয়েছে কীড়া।
এ বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো:ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,পশু জবাই আইন রয়েছে,সে আইন অনুযায়ী পশু জবাইয়ের পূর্বে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে যে পশুটা সুস্থ্য-সবল আছে কিনা। যদি এর ব্যতিক্রম করে তাহলে পশু জবাই আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তা প্রয়োগ করবো। বাজার মনিটরিং কাজ অব্যাহত রয়েছে আমরা শিঘ্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।