এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত মিলন হাওলাদারের লাশ দাফনের ৫১ দিন পরে উত্তোলন করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটারা গ্রামের পারিবারিক কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গত ২১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন মিলন হাওলাদার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ওইদিন রাত ১০ টার দিকে মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে দুমকী গ্রামের বাড়িতে আনা হয় এবং পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত মিলন উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটারা গ্রামের বাসিন্দা হোসেন হাওলাদারের ছেলে। মিলন পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।
এবিষয়ে নিহত মিলনের স্ত্রী মোসা. শাহানাজ বেগম ১৮ আগস্ট নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ন্যায় বিচারের স্বার্থে পটুয়াখালী জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদেশ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মাহমুদ লাশ উত্তোলন করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠান।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. শফিউর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল হাসান শাহীন, উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জি এম এনামুল হক, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান সোহরাব, উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আমেনা বেগম প্রমুখ।
দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ এব্যাপারে জানান, নিহত মিলনের স্ত্রী শাহানাজ বেগম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ ময়না তদন্তের আদেশ দিলে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়।