মোঃ শফিয়ার রহমান পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি।
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় বিএনপি’র গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ তিন পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে আমীর এজাজ খানকে আহ্বায়ক, আবু হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এস এম মনিরুল হাসানকে সদস্যসচিব করা হয়। বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে জানানো ঐ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে। নতুন কমিটি ঘিরে তোড় জোড় শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাইকগাছা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আগামী কমিটিতে যারা দলের দুঃসময়ে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন তাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সেই হিসাবে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনার রাজপথ কাঁপানো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন কারি বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সামসুল আলম পিন্টুকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে দাবি তুলেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। সামসুল আলম পিন্টু বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন স্কুল জীবন থেকে। পারিবারিক সূত্রে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৮৩ সালে খুলনার
এম এম সিটি কলেজ ছাত্রদল নেতা হিসেবে রাজপথ কাঁপানো পিন্টু দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ও শৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সবার নজর কাড়েন। ১৯৯০ সালে জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন (২১-২২)। এছাড়াও ২০২৩,২০২৪ সালে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনোনিত হন। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম পিন্টু এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি পদে একাধিক বার, খুলনার ঐতিহ্যবাহী উপশহর কপিলমুনি বণিক সমিতি ও কপিলমুনি প্রেসক্লাবের। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন, বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাসহ বিভিন্ন পদে। তিনি আরো বলেন, আপোষহীন দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দিকনির্দেশনা পালন করেছি। রাজনীতি শুরু থেকে বর্তমান ২০২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক মামলা, হামলা ও বাড়ি ভাংচুরসহ কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির মাধ্যমে জেলাবাসীকে সেবা দিতে চান বলে জানান। তিনি আরো বলেন, ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এবং স্বৈরাচার এরশাদ কতৃক পুলিশ কতৃক গ্রেফতার হয়ে ১৯ মাস কারাভোগের পর বেরিয়ে হাসিনা পতন আন্দোলনের দক্ষিণ অঞ্চলিয় নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে রাজপথ কাঁপিয়েছি। বর্তমান একাধিক মামলার আসামি হয়ে আছি। তিনি আরো বলেন,৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে পাহারা দিয়েছি। ব্যাবসায়ীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবরের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে ব্যাবসা পরিচালনার জন্য দিন রাত ছুটে চলেছি। বিএনপির ওয়ার্ড নেতা কামরুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্ট বিএনপি নেতা শেখ সামসুল আলম পিন্টু ভাইয়ের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দিয়েছি। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কেউ যেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপতৎপরতা চালাতে না পারে। গদাইপুর ইউপির বিএনপির নেতাকর্মী সোহাগ, হাসান সহ অনেকেই এই প্রতিবেদককে বলেন, দলের দুঃসময়ে আমাদের আগলে রেখেছেন শেখ সামসুল আলম পিন্টু। লতার কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে জানান,আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিবকে অনুরোধ করছি, শেখ সামসুল আলম পিন্টুকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিতে। বিএনপি নেতা পিন্টু বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক কালজয়ী রাষ্ট্র নায়ক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে আপোষহীন দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের প্রতি আস্তা রেখে ই আপোষহীন ছিলাম বিএনপির প্রতিটি ক্ষেত্রে।
দেশের গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে পরিনত করা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আমার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে তিনি দেশ নায়ক তারেক রহমান সহ সকল নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা এখনই প্রত্যাহার করার আহবান জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত