মো: রাসেল মোল্লা
রূপগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
বিভিন্ন প্রজাতীর ফলদ গাছের সাথে শত্রুতার ঘটনা অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর তেঁতুল তলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার রাতে আঁধারে দুবৃত্তরা স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ আল আমিন এর ক্রয়কৃত জমিরতে বিদেশী ও দেশী প্রজাতীর আম, কাঠাল, লিচু, জলপাই, পেঁপে ও কলাগাছসহ ফলদের অন্তত ৬০টি গাছ কেটে ফেলেছে। জমিতে সবজি চাষের জন্য বাঁশ দিয়ে চালা তৌরি করা ছিল বলেও জানা গেছে।
জমিটির পাশের বাড়িতে বসবাসকারি একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গভির রাতের আধারে মড়মড় শব্দ শোনতে পাই। গত সোমবার আনুমানিক পোনে ৫ টার দিকে চাপাতি হাতে ২ জন যুবক মটর সাইকের যোগে আসে। ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে গাছগুলো কেটে ফেলেছে। তাদেরকে ডাকলে সচিবের লোক ও মিঠুর ভাগিনা বলে চলে যায়।
এ ঘটনায় জমির মালিক সাংবাদিক আল আমিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর আগে গন্ধর্বপুর মৌজার এসএ ১৫৩ যাহার আরএস ২৯২ দাগে আমি খরিদ সূত্রে ৩ শতাংশ জমির মালিক হইয়া নিজ নামে খাজনা খারিজ পরিশোধ করে আসছি। আমার পূর্বে এ জমির মালিক যাহারা ছিলের তাহারাও খরিদ সূত্রে মালিক ছিল। দখল পজিশন বুঝাইয়া দিলে আমি আমার অংশে মাটি কাটিয়া পাড় বাঁধাই ও বিভিন্ন প্রজাতীর ফলদ গাছের চারা রোপণ করে এবং সবজির চালা তৌরি করে চাষাবাদ করে আসছি শান্তিপূর্ণ ভাবে।
গত ১ মাস আগে মুড়াপাড়া দড়িকান্দী এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মিঠু নামের একজন যুবদলের কর্মী আমাকে জানায় সানারপাড় এলাকার একজন সচিবের অত্নীয় জমি আছে আমাদের এলাকায়। আমি তাকে বল্লাম আমি কি করতে পারি?
মিঠুর সাথে এ কথোপ কথন হওয়ার অন্তত ১২/১৫ পরে প্রথম ধাপে আমার আমার সবজির চালা ও কলাগাছ, পেঁপে গাছ, কাঠাল গাছ কেটে ফেলেছে। তার সাথে এ বিষয়ে কথা হলে সে কিছুই জানেননা বলেন। তার সাথে থাকা ভাতিজা ও ভাগিনা দুইজন উপস্থিত ছিলেন। কার সাথে যেন মোঠো ফোনে কথাও বলছিলেন মিঠুর ভাগিনা। মিঠু রাগান্নিত হয়ে ভাগিনাকে আবারও ফোন দিতে বলেন ঐদিন।
আমি মিঠুকে সচিবের সাথে দেখা করার জন্য সময চাইলে সে আজও আমাকে সচিবের সাথে দেখা করানি।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত