নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের পীরগঞ্জে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুক (৩৬) কে জবাই করে মাথা নিয়ে যাওয়ার ৪১ ঘন্টা পর পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরা খুনী আতিকুর রহমান (৩৫) কে সাথে নিয়ে ঝিনুকের খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ নামকস্থান থেকে খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে পুলিশ ওই নদীর বড় বদনারপাড়া নামকস্থান থেকে মাথা বিহীন লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনারাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫)। তিনি একজন পেশাদার জুয়াড়ী হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী নিয়ে আসতেন। কয়েকদিন আগে সে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুক (৩৬) কে তার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। গত শুক্রবার সকালে পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর তীরে বড় বদনারপাড়ায় একটি মরিচের ক্ষেত থেকে ঝিনুকের মাথা বিহীন লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ এবং র্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আতিকুর রহমান'কে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঝিনুকের ফেলে রাখা লাশের স্থান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ওই নদীর টোংরারদহ নামকস্থানে নদীপাড়ে কাঁদার নীচ থেকে ঝিনুকের খন্ডিত মাথাটি ৪১ ঘন্টা পর শনিবার বিকেলে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় সাংবাদিকদের মাঝে উক্ত ঘটনার প্রেস ব্রিফিং করেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম। এ সময় রংপুর সি-সার্কেলের এএসপি আসিফা আফরোজ আদরী, ওসি এমএ ফারুক উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আতিকুর একটি ধারালো ছোরা দিয়ে ঝিনুককে জবাই করে লাশ ফেলে রেখে মাথাটি নিয়ে গিয়ে নদীরপাড়ে পুঁতে রাখে। তাকে সাথে নিয়ে খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন এর ছেলে রেজাউল করিমের সাথে বিয়ে হয়েছিল। পরে তা তালাক হয়ে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত