অথই নূরুল আমিন
বিশেষ করে কোভিট ১৯, মানে ২০১৯। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত। দেশের ১% জনগণও আর আউট বই পড়ছে না। সেটা হোক গল্প কবিতা বা উপন্যাস। তার মধ্যে ফেসবুক এসে আরো জায়গা দখল করে নিয়েছে। এখানে পুরুষ বা নারী কেউই বই পড়ছে না। দেশের সরকারি বেসরকারি সবগুলো পাঠাগার আজকে পাঠক শূন্যতায় নীরব।
মানুষের মাঝে সকল অশুভ চিন্তাশক্তি খুব দারুন ভাবে বাসা বেঁধেছে। সকাল থেকে সারাদিনব্যাপী অন্যের ক্ষতিসাধন করা, চুরি চাদাবাজী ছিনতাই ডাকাতি মারামারি কাটাকাটিসহ সকল মন্দ কাজে মানুষ আজকে চরম ব্যস্ত। অন্য দিকে রয়েছে দেশের ৬০% কিশোর তারা সৃষ্টি করেছে কিশোর গ্যাং। এছাড়া দেশজুড়ে চলছে মাদক। এরকম অসংখ্য ধরনের মাদক বেচাকেনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সমাজের আজকে চরম অবনতি। এ যেন দুই হাজার বছর পূর্বের সেই সেঁতসেঁতে মানুষের চালচলন। কিছু কবি লেখকেরা এখনো সংগঠন করতে চাচ্ছেন, মানুষকে আলোকিত করার জন্য বই লিখছেন প্রকাশ করছেন। এ যেন উলুবনে মুক্তা ছিটানোর মত অবস্থা।
এখানো কিছু মানুষ আছে। তারা পাঠাগার করে বসে আছেন, কিন্তু প্রতিবেশি কেউ এগিয়ে আসছে না। কারণ বই পড়া থেকে মানুষ তার নিজের তাগিদেই দূরে সরে যাচ্ছে। প্রিয় পাঠক, ছাত্রর কথা বাদ দেন, কোনো স্কুল কলেজের শিক্ষককে একটি বই উপহার দিলেও নিতে চায় না। উত্তরে বলে বই পড়ার সময় নেই। এত চাপে আছি।
দেশের নব্বই শতাংশ মানুষেরা আজকে মন্দ কাজে মন্দ নেশায় মন্দ গবেষণায় জড়িয়ে পরেছে। এখানে মাত্র দশ শতভাগ মানুষেরা গভীর ভাবে চেষ্টা করছে দেশটাকে সুন্দর করার জন্য। এগিয়ে নেয়ার জন্য। তা কি আদৌ সম্ভব? দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পর্যন্ত কমিশনের মাধ্যমে কাজ দিয়ে দেয়। অসৎ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র সচিব ও কোটি টাকা বাণিজ্য করছে। ফাসির আসামি খালাস করে দিয়ে।
দেশে শিক্ষিত মা পাওয়া যায়নি। তাই দেশটা শিক্ষিত করা যায়নি। দেশের শিক্ষিত মায়েরাও শশুর শাশুড়িকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছে প্রতিনিয়ত। সমমনা ভাই পাওয়া যায়নি। জমির ভাগ ভাটোয়া নিয়ে। যে মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব নেই। সে আবার কিসের মানুষ?
দেশের বইগুলো আজকে পাঠক ছাড়া। পাঠাগার গুলো আজ পাঠক ছাড়া। আজকে আর পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করতে চায় না। সবাই নকল পণ্য ভেজাল পণ্য এবং ওজনে কম দেয়ার ব্যবসা শুরু করেছে। এবং দালালী মিডিয়া নির্ভর হয়ে পরেছে দেশের বড় একটি অংশ।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত