রেদওয়ানা আফরিন রিপোর্টার
বরগুনা জলজট ও মশার দাপটে জনজীবন নাজেহাল
আষাঢ়ের শুরুতেই কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বরগুনা বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন পুরাতন ড্রেন, এবং যত্রতত্র পলিথিন ফেলার কারণে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে ভারী বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘরবাড়ি, সড়ক এবং নিচু অঞ্চল।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বরগুনা লেক পট্টি রোড, আর্দশ স্কুলের সামনের রোড, কলেজ রোড , পশু
হাসপাতাল সড়ক, কাঠ পট্টি সড়ক, ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নে সোনালি পারা সংলগ্ন এলাকাগুলোর বেশিরভাগ ড্রেন এখন পানিতে টইটম্বুর। অনেক ড্রেনের উপর নেই কোনো ¯গ্যাব, আবার কিছু ড্রেন মাটি, ইট-পাথর ও পলিথিনে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি উপচে উঠে এসেছে সড়কে, ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে।
জলাবদ্ধ পানিতে সৃষ্টি হয়েছে মশা, মাছি ও পোকামাকড়ের ভয়ঙ্কর উপদ্রব। স্থানীয়রা জানায়, রাত-বিরাতে মশার কামড়ে ঘুমানো দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অবস্থায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জ্বর এবং করোনার মতো রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
সোনালি পারা নতুন রাস্তা থেকে খেজুর তলা কৃষি অফিস পর্যন্ত অনেক বাড়ি বর্তমানে হাঁটু পানি ডুবে রয়েছে। গত কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে ২, ৩ ও ১ নং ওয়ার্ড-এর নিম্নঞ্চলসহ প্রায় সব এলাকাই জলজটে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে শিশু, বৃদ্ধ ও কর্মজীবীদের চলাফেরা সীমাহীন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বরগুনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শত শত কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও বাস্তবে এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ, খনন হয়নি বা কোথাও কোথাও এমনভাবে করা হয়েছে যা জলাবদ্ধতা আরো বাড়িয়েছে।
এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, যে উন্নয়নের কথা বলা হয়, তা কাগজে-কলমে। মাটি আর পানির নিচে বাস করছি আমরা। রাস্তার উপর দিয়ে পানিতে হাঁটা যায় না, আবার ঘরের ভেতরেও পানি!
বরগুনার বাসিন্দারা বলেন, শুধু প্রকল্প গ্রহণ নয়, সঠিক তদারকি ও বাস্তবায়ন জরুরি। নইলে সামনের দিনগুলোতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এদিকে বট তলা খেজুর তলা এলাকার পান চাষি খিতিস হাওলাদার বলেন মুসল দারা বৃষ্টিতে পানের বর পাতা ডুবে যাচ্ছে পরে যাচ্ছে অন্য দিকে পানের দাম ও কম কিভাবে চলবো আমরা চাল কিনতে কষ্ট হয়ে যায়, কেমনে খাবো ভাত। অপর দিকে মস্যৎ চাষি আতিকুর রহমান আজাদ বলছে মুসল দারা বৃষ্টিতে মাছের ঘের, পুকুর, ডোবা ডুবে যাচ্ছে যে মাছ চাষ করছি তার অর্ধেক ও আছে কিনা সন্দেহ কেমনে চলবে দিন এই রকম হলে বেঁচে থাকা দায়। বিষ্টি জন্য দেখা যাচ্ছে না ধানের বীজ অন্য দিকে বেরে গেছে তরকারির দাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত