আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:-
বরগুনা আমতলীতে রাতের আঁধারে এক অসহায় দরিদ্র কৃষকের ১২০০ মিনা,ঝিঙ্গা ও লাউ গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের লোকমান নামে চিহ্নত চোরের বিরুদ্ধে। এতে কৃষকের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অভিযুক্ত লোকমান হাওলাদার( ৩৫)একই ওয়ার্ডের মজিদ হাওলাদারের ছেলে।
রবিবার দিবাগত রাতে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড নিজকাঠা লোছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম আবুল হাওলাদার। তিনি আমতলী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড নিজ কাঠা লোছা
এলাকার মৃত আফেজ হাওলাদারের ছেলে।
আবুল হাওলাদার জানান, ১০ বছর আগে বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকায় স্থানীয় মাসুদ মীরার ৪১ শতক জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে আসছেন। এর মধ্যে তিনি ২৪ শতক জমির মধ্যে ১২০০ টি মিনা, ঝিঙ্গা ও লাউ চারা রোপণ করেন।
পরিশ্রম আর পরিচর্যা করে সারি সারি গাছে মিনা,ঝিঙা, লাউ বড় হচ্ছিল। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারজাত করে এনজিওর কিস্তি ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগান দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষক আবুল হাওলাদার। ঠিক তখনি দুর্বৃত্তরা মিনা গাছ কেটে তার স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিল।
সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৩ শতাধিক মিনা গাছ কেটে কে বা কারা মাটিতে ফেলে রেখেছে। যে গাছগুলোর মিনা আর কিছুদিন পরে বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হতো।
স্থানীয়রা জানান, আবুল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ফল ও ফলজের বাগান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
পৌরবিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব মো:দুলাল বয়াতী জানান, মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা। যারা এ অন্যায় করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রাসেল জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে কিভাবে প্রণোদনার আওতায় আনা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো:আরিফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত