আরিফ হোসেন মোল্লা, বরগুনা।
আসন্ন দূর্গা পূজা সুশৃঙ্খল উদযাপন নিশ্চিত করতে বরগুনায় সম্প্রীতি সমাবেশ বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল। সম্প্রীতি সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহকারী পরিচালক দিপু হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রঞ্জুয়ারা শিপু, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইয়াকুব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সুখরঞ্জন শীল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, মনির হোসেন কামাল, অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার, মোঃ হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ বাকি বিল্লাহ প্রমুখ।
সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপের প্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যুব সমাজের প্রতিনিধি, পুজা উদযাপন ফ্রন্ট ও পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার বেপারী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব রায়, জেলা পূজা উদযাপন এর সভাপতি শ্যামল চন্দ্র হাওলাদার, কালিবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি তপন চন্দ্র দাস, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির, গণমাধ্যম কর্মী মোঃ শাহ আলী প্রমুখ।
সম্প্রীতি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্টি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবু জাফর সালেহ।
সম্প্রীতি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দুর্গাপূজা এখন কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি দেশের ঐতিহ্য ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক। এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে অংশগ্রহণ করেন। তাই শান্তিপূর্ণভাবে এ উৎসব সম্পন্ন করতে আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।সমাবেশে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়, সেগুলো হলো প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সেচ্ছাসেবক দল গঠন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভেতর-বাহিরের শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।পালাক্রমে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ডিউটি থাকবে, যাতে কোনো ফাঁক না থেকে যায়। টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বিশেষ করে রাতে যাতে মানুষ নিশ্চিন্তে পূজা দেখতে আসতে পারেন। কোনো পূজামণ্ডপে সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা সরাসরি কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করতে হবে। সুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা আমাদের পূজাকে নির্বিঘ্ন ও আনন্দঘন করে তুলবে। জনগণের সাথে পুলিশের এ আন্তরিক সম্পর্কই আমাদের ভরসা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত