 
     
 মোমেন আকন্দ (গাজীপুর প্রতিনিধি)
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বরমী বাজার ও আশপাশের এলাকায় এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাত এর নির্দেশে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ।
কর্মসূচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর সালাম জানিয়ে অংশ নেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইম্তেহান আলিফ আকন্দ, বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা সাদিকুর রহমান (সাদিক), নাহিদ ইসলাম আশিক, মোনিম সরকার, রাকিব সরকারসহ দুই শতাধিক ছাত্রদল নেতা-কর্মী।
নেতাকর্মীরা জানান, দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানের এই ৩১ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে। বাংলাদেশের আপামর জনগণের কথা চিন্তা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এই ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন।
তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার মূল বিষয়সমূহ
১. তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়।
২. সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে বিতর্কিত সংশোধনী পর্যালোচনা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৩. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব—একটি আইনসভা, অপরটি জাতীয় নীতি নির্ধারণী পরিষদ।
৪. প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা নির্ধারণ—একজন ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
৫. ধারা ৭০ সংস্কার, যাতে সংসদ সদস্যরা মতপ্রকাশে স্বাধীনতা পান।
৬. নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার, কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক করা।
৭. জাতীয় পুনর্মিলন কমিশন গঠন করে রাজনৈতিক সংলাপের পরিবেশ তৈরি।
৮. বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা এবং বিচারকদের নিয়োগে স্বচ্ছ পদ্ধতি চালু করা।
৯. দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা, কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া।
১০. মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশনকে কার্যকর করা।
১১. প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগের পরিবর্তে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে পদায়ন।
১২. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি।
১৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং গুম–খুন বন্ধে আইন প্রণয়ন।
১৪. মিডিয়ার স্বাধীনতা ও সাইবার আইনের সংস্কার।
১৫. শিক্ষা সংস্কার: দক্ষতা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
১৬. স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য করা; উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন।
১৭. বেকারত্ব দূরীকরণে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়ন।
১৮. বিদেশে কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ ও প্রবাসী কল্যাণ তহবিল বৃদ্ধি।
১৯. নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করা।
২০. জ্বালানি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।
২১. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
২২. পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন; রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধে আইন প্রণয়ন।
২৩. রাষ্ট্রীয় সম্পদের স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিবিরোধী শাসনব্যবস্থা।
২৪. নাগরিক সেবা ডিজিটাল রূপান্তর, যেন হয়রানি ছাড়াই সেবা পাওয়া যায়।
২৫. পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয় পরিকল্পনা।
২৬. প্রবাসী আয় সুরক্ষা ও বিনিয়োগ সহজীকরণ।
27. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে তরুণদের জন্য বিশেষ তহবিল।
২৮. শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী শিক্ষা ঋণ ও বৃত্তি ব্যবস্থা।
২৯. ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সাম্য ভিত্তিক সমাজ গঠন।
৩০. আইন, মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ।
৩১. গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ঐক্য গঠন।
ছাত্রদল নেতারা জানান, এই ৩১ দফার আলোকে তারা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সংগঠনকে আরও সংগঠিত করতে চান। তাঁদের বিশ্বাস, এই রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত