স্টাফ রিপোর্টার
"আমি ধন্য জন্মেছি এই বঙ্গে, জীবনানন্দ দাশের রুপসী মাটির স্বর্গে, নজরুলের ‘রণ তরিতে’, আমার মমতাময়ী মায়ের গর্ভে, নব্বই দশকের কোন এক বেড়ার কুঠুরিতে জন্ম যে আমার। রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর, তুরাগ নদীর তীরে এক মুসলিম পরিবারে ৮ই আগস্ট।" এরকম ভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি করেন তিনি।
তারিকুল আমিন খানের, পিতা,অথই নূরুল আমিন, (তিনি কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্রচিন্তক, এছাড়া কোটা আন্দোলন সমর্থিত লেখক )। মাতা, বেগম নাসিমা আমিন। পাঁচ ভাই- বোনের মধ্যে তারিকুল আমিন খান সবার বড়। (তবে সাহিত্যিক ছদ্মনাম ) নাম তারিকুল আমিন। পুরো নাম তারিকুর রাহমান খান (টারজান)। রক্তের গ্রুপ এ+।
পৈত্রিক নিবাস গ্রাম, ছয়গাঁও, উপজেলা : বারহাট্টা, জেলা : নেত্রকোনা। মাতৃ নিবাস উপজেলা : হিজলা, জেলা : বরিশাল। প্রিয় সখ: চাষাবাদ করা, অভিনয় করা, বই পড়া, ভ্রমণ করা এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া।
তরুণ ও উদীয়মান সংগঠক তারিকুল আমিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (২০২১ ও ২০২২) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও ঢাকা উদ্যান সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচ এস সি। ঢাকা উদ্যান পাবলিক স্কুল (২০১৪) এস এস সি ও বরাবর মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২০০৮) পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেন।
২০১৭ সাল থেকে চিত্রণ আবৃত্তি অঙ্গনের আবৃত্তি প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন এবং ২০২৩ সাল থেকে উত্তরায়ণ একাডেমিতে নাটক ও আবৃত্তির প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন তিনি । এছাড়া ২০২৪ সাল থেকে সারা বাংলাদেশের ‘নব ভাবনা লেখক ফোরাম’ এর জয়েন্ট এ্যাম্বাসেডর জেনারেল হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবং ২০২৩ সাল থেকে ‘কাগজঘর’ সাহিত্য সাময়িকী সংগ্রহশালার সমন্বয়ক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ১০০টির অধিক প্রতিযোগিতায় তিনি চ্যাপিয়ন, রার্নাস-আপ এবং ২০০ এর অধিক নাটক সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন।
১৯৯৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় যাত্রা শুরু। দলের নাম ‘টোকাই নাট্য দল’। নাট্যগুরু শেখ মেহেদী হাসান সাজু। বর্তমানে ‘কণ্ঠশীলন’ ও ‘নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়’ কাজ করছেন ।
অভিনিত নাটক— আকরাম খান পরিচালিত ‘নাবিলা চরিত্র’ (ধারাবাহিক), ফেরারি পাখি (একক), সাগর জাহান পরিচালিত ‘প্রথম প্রেম টোকাই’ (একক), জাকির হোসেন পরিচালিত ‘গলির ধারের ছেলেটি’ (একক), আবুল হায়াত পরিচালিত ‘আলো আমার আলো’ (ধারাবাহিক), রংধনু (ধারাবাহিক), শফিউল আযম শফিক পরিচালিত নাটক ‘আরাধনা’, এবং ‘মা’, এস এম আক্তার পরিচালিত ‘নাও খেলা’, জাকির হোসেন জাকি পরিচালিত ‘আয়নায় মুখ’, মিজানুর রহমান রাতুল পরিচালিত ‘বড় আশা করে’, ইত্যাদি।
অভিনিত বিজ্ঞাপন— ‘ম্যাজিক টুথ পাউডার’ (আমার নাম মফিজ, ভাড়া হচ্ছে ৩০), ‘গ্রামীণ ফোন’, ‘গাজী ট্যাঙ’, ‘সিটিসেল’, ‘বাংলালিংক’, ‘জাগো মানুষ জাগো’, ‘দুনীতি প্রতিরোধ বিজ্ঞাপণ’ ইত্যাদি।
অভিনিত সিনেমা— আলেকজেন্ডার অভিনিত ‘ভাড়াটিয়া প্রেমিক’, মনের মানুষ, সোহেল রানা বয়াতি পরিচালিত ‘নয়া মানুষ’ ইত্যাদি।
অভিনিত মঞ্চ নাটক— টোকাই নাট্য দল পরিবেশনায় (রোজিনা, নূরজাহান, উপলব্ধি, শুভবুদ্ধি, রংধনু, পানা)। নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত নাটক ‘ক্লিপেট্ট্রা’, ‘রাজা বাহাদুর শাহ’, হুমায়ুন আহমেদের লেখা ‘নৃপতি’। পরিবেশ থিয়েটার আয়োজিত রায়ের বাজার বদ্ধভূমির ইতিহাস নিয়ে নাটক ‘চোখবাঁধা মাইক্রোবাস’ ইত্যাদি।
এছাড়া আরো অসংখ্য কাজ করেছেন তারিকুল আমিন। তার লেখা প্রথম শিশুতোষ গল্পের বই ‘এলিয়েন খাবে পান্তাভাত’ (২০২৪) ছোটদের সময় প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সামনে তার দুটো বই বের হবে। একটি গল্পগ্রন্থ ‘ ফুলশয্যা’র বিভীষিকা’ ও দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণার বই যা এখনও চলমান বইটির নাম ‘ডাকটিকিটের অতীত ও বর্তমান হালচাল’।
তরুণ এই সংগঠক ছোট বেলা থেকেই সামাজিক কাজের সাথে জড়িত আছেন। তিনি একাধারে একজন লেখক, কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। তার লেখার শুরুটা কবিতা দিয়ে ৫ম শ্রেণি থেকেই। তার পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ আর গল্প লিখছেন, ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে।
তিনি জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যূথানে তার কণ্ঠ দিয়ে জুলায়ের পক্ষের কবিতা আবৃত্তি করেও জনগণকে জাগিয়েছেন। তিনি আগামীর বাংলাদেশকে তার সততা ও নেতৃত্ব দিয়ে বহুমাত্রিক অবদান রাখবেন বলে এই প্রতিনিধি মনে করেন।
তারিকুল আমিন বলেন, তিনি কোন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি চান প্রতিহিংসার এই খেলা শেষ হোক। নতুনদের কাছে আসুক নেতৃত্ব। পরিবারতন্ত্র থেকে বের হয়ে আলোর মুখ দেখুক আমাদের দেশের রাজনীতি। ন্যায় বিচার এবং সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা চালু হোক সারাদেশ জুড়ে। রাজনীতি অঙ্গনে থাকুক মনুষ্যত্ব,থাকুক মানবতা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত