নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন জাকারিয়া রহমান জিকু।
৩০ তম বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড ড্রাইভার আবেদ আলির মাধ্যমে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ ক্যাডারে জয়েন করেন জাকারিয়া রহমান।
প্রশ্ন কিনে ক্যাডার হয়েছেন তাই নয়, তিনি পুলিশ ক্যাডারে জয়েন করার পর থেকে আবেদ আলির সাথে প্রশ্ন কেনা বেঁচার সাথে জড়িত ছিলেন, তার সাথে আবেদ আলির টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ এ একাধিক ম্যাসেজ পাওয়া গেছে, যা আবেদ আলির সাথে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে।
জাকারিয়া রহমানকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদ আলি টাকা পাঠিয়েছে, এক্ষেত্রে আবেদ আলি এবং তার বউয়ের সাথেও টাকা লেনদেন করেছে জাকারিয়া রহমান।
সর্বশেষ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার বিভিন্ন ক্যান্ডিডেটের এডমিন কার্ডও পাওয়া গেছে জাকারিয়ার ফোনে।
এই জাকারিয়া রহমান হাসিনার সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন সবার নজরে এসেছে।
সেসময় তার বেতন ছিলো সর্বসাকুল্যে ৫০ হাজার মতো, কিন্তু সাতকানিয়া লোহাগাড়ার প্রতিটি প্রোগ্রামে সে লাখ লাখ টাকা স্পনসর করতো, বিনিময়ে বিভিন্ন আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা সোস্যাল মিডিয়ার তার পক্ষে প্রচারণার কথা বলতেন।
তাছাড়া সে যখন সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় কর্মরত ছিলেন, তখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছিলো, সেসময় টাকার বিনিময়ে মেম্বার এবং চেয়ারম্যানের ভোটের ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলো, তার অতিরিক্ত ক্ষমতার আতঙ্কে সেসময় মানুষ কিছু বলতে পারেনি।
চ্যানেল ২৪ এর অনুসন্ধানি রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে এই জাকারিয়া রহমান জিকুর অপকর্ম সামনে আসতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ফাঁসের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার পরও জাকারিয়া রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
চ্যানেল ২৪ এর অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে আসে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত