মুহসিন মিয়া শাহিন (গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটির মোছাঃ সিদ্দিকা খানম এর স্বামী হাসমত আলী কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সিদ্দিকা খানম সাংবাদিকদের জানান, ৩০ তারিখ বুধবার আনুমানিক সকাল ৮:০০ টার সময় সিদ্দিকা খানম ও তার স্বামী তাদের বর্ণিত জমিতে থাকা বাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার সাথে বেড়া দেওয়ার কাজ করেন। এ সময় অত্র এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীরা তাদের কাজে বাঁধা দেয় এবং অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ করলে, তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। এ বিষয়ে সিদ্দিকা খানম বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিবাদী ১/ মোঃ পলাশ (২৮) পিতা বেলাল হোসেন, ২/ মোঃ বিজয় (৩০) পিতা কামরুল ইসলাম ৩/ মোঃ আকাশ (২৫) পিতা বেলাল হোসেন, সর্ব সাং দক্ষিণ ভাংনাহাটি পৌরসভা ও থানা শ্রীপুর, গাজীপুর। গনসহ অজ্ঞতা নামা আরো ৪-৫ জনসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে বলা হয়েছে, শ্রীপুর থানাধীন ৪৩ নং মৌজা দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে নতুন হ্যামস্ (ভিকটরিয়া) গার্মেন্টসের দক্ষিণ পাশে,আমার পিতার নিকট থেকে, পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সাত শতাংশ জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করি এবং উক্ত বাড়িতে ভাড়াটিয়াগণ মাসিক ভাড়ায় বসবাস করিতেছে। এমত অবস্থায় বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পর থেকে উক্ত বিবাদিগণ পরস্পর যোসাজেস অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০/৮/২৩ ইং সকাল আনুমানিক ৮:০০ টার সময় আমি ও আমার স্বামী আমার বর্ণিত জমিতে থাকা বসতবাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার সাথে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করি তখন বিবাদীগণ ইহা দেখিতে পায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন নিয়ে বিবাদীগণ লাঠি লোহার রোড নিয়ে এসে আমাদের পাঁচ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন, এবং আমার স্বামীকে খুন করার হুমকিও প্রদান করেন। উক্ত বিষয়গুলোর প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারি ভাবে মারপিট শুরু করেন। এবং তিল খুশির লাথি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লোহার রড দিয়ে প্রহার করেন। এ সময় আমি সিদ্দিকা খানম তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা এবং শীলতা হানির চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের সাথে থাকা গলার চেইন কানের দুল সহ একটি মোবাইল হাতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ডাক চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন আসলে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বিবাদীগণ চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে অটোরিকশার মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাই।
উক্ত বিষয়ে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন শ্রীপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মানবাধিকার কর্মীরা বলেন উক্ত বিষয় টা অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ সকলের কাছে অনুরোধ জানান।
উপরোক্ত বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (স্বতন্ত) মোঃ তানসেন চৌধুরী বলেন উক্ত বিষয় টি আমলে নিয়ে অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।