1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
Title :
নীলফামারী জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী জেলায় ৪ স্কুলের সবাই ফেল, জেলায় গড়ে পাসের হার ৫৫.৭২ শতাংশ বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন-এসএসসি ২০২৫ কলাপাড়ায় উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে সাপের এক্সরে! গাজীপুরে ‘হুমায়রা কুটির’-এর জমকালো উদ্বোধন নীলফামারীতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন কুড়িগ্রামে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়া কে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে, কনের জ্যাঠা নিহত ১৫ বছর মামলা হামলা নির্যাতনেও রাজপথে ছিলেন যুবদল নেতা সোহেল রহমান ! ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী টুটুলের সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা

নিষিদ্ধ ‘চায়না জাল’, এ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশি প্রজাতির মাছ, নেই প্রশাসনের তৎপরতা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০০ Time View

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::

জালের নাম “চায়না জাল”। গড়ে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা। এক ফুট পরপর ছোট-বড় মাছ প্রবেশের পথ। প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না। এই জালে রেনু পোনা থেকে বড় মাছ এমনকি জলজ প্রাণি সবই আটকে যায়। বিশেষভাবে তৈরি এই জাল মাছের মরণফাঁদ। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও উপজেলার খাল-বিল, নদী-নালা এই জালে সয়লাব। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় এসব জাল অবাধে বিক্রি করছেন। অপরদিকে এক শ্রেণির মানুষ এগুলো খালে-বিলে, নদী-নালায় ব্যবহার করে দেশি প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার সংকটে ফেলছে।

সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, ডোবা-নালা এবং নদীতে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ঘনভাবে প্লাষ্টিকের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ ফুট জালের দাম ২ থেকে ৩ হাজার এমনকি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে জাল-সুতার দোকান এমনকি মুদি-মনোহারী দোকানেও প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে এই জাল খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় সব এলাকায়ই এই জাল ব্যবহার করা হলেও চরাঞ্চলে এই জালের ব্যবহার বেশি হচ্ছে।

কালাইয়া এলাকার স্কুল শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চায়না দুয়ারি জাল মারাত্মক ধ্বংসাত্মক। এ জালে মাছের সাথে রেনু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণিও মারা পড়ছে। এতে দিনদিন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পৌর শহরের মাছ ব্যবসায়ী মো. রুবেল সিকদার জানান, এক সময় বাজারে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। গত কয়েক বছর ধরে আর আগের মত দেশি মাছের দেখা মিলছে না। বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল, মাত্রাতিরিক্ত কিটনাশক ও সার ব্যবহারের কারণে খাল-বিল, ডোবা-নালায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হচ্ছে।

হাটে-বাজারে নিষিদ্ধ এই জাল বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এ জালের ব্যবহার বন্ধের দাবি করে বাউফলের সুশীল সমাজের একাধিক ব্যক্তি মনে করছেন, এমনিতে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে, এই জাল দিয়ে দেশি মাছের রেনুপোনাসহ বিভিন্ন জলজপ্রাণি ধ্বংস করা হচ্ছে। এরফলে দেশি মাছের যে কয়কটি প্রজাতি টিকে রয়েছে তাও অরিচেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারা দাবি করেন, নিষিদ্ধ এই জাল ব্যবহারের উপর প্রশাসনের কঠোর নজরদারি করতে হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চায়না দুয়ারিসহ সকল নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযান চালিয়ে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আগামিতে আরও ব্যাপক ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং