1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
Title :
জলঢাকা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগনের পদোন্নতির লক্ষ্যে কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে নারী সাংবাদিকের সাথে তিতাসের ম্যানেজারের অসৎ আচরণের অভিযোগ বাউফলে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন পন্ড, বিএনপি নেতার দাবী অনর্থক অপরাজনীতি রংপুরে দুই উপজেলায় পরীক্ষার সেন্টারে নকলের ভিডিও করায় ৬ সাংবাদিকের উপর হামলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান স্ত্রী মায়ের গায়ে হাত তোলায় ক্ষোভ কষ্টের ইতি টানলেন এএসপি পলাশ সাহা সাংবাদিক নির্যাতন হামলা মামলা সহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা রূপগঞ্জে কাস্টমস্ কর্মকর্তা পরিচয়ে ছিনতাই হওয়া তেল উদ্ধার, গ্রেফতার তিন রহস্যময় ঐতিহ্যবাহী শাহ সূফী হযরত ইয়ারউদ্দীন খলিফা (রঃ) মাজার ও জীবনী কাতারে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের অভিষেক

রংপুরে দুই উপজেলায় পরীক্ষার সেন্টারে নকলের ভিডিও করায় ৬ সাংবাদিকের উপর হামলা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৯ Time View

শরিফা বেগম শিউলী,স্টাফ রিপোর্টার

রংপুর কাউনিয়া মীরবাগ ডিগ্রি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার হলে শিক্ষক একেই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন, রুমে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ ও টয়লেটে নকলের মহোৎসবের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা করেন প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদীন গং বাহিনী।
গতকাল দুপুর সাড়ে তিনটায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে।
এই সময়ে পুলিশের সামনে  প্রায় কয়েক দফা হামলা চালান তারা। বিজয় টিভির রংপুর ব্যুরো প্রধান হামিদুর রহমান হামিদ, সহকর্মী ক্যামেরাম্যান শাহীন আলম সাবু এছাড়া প্লাস টিভির রিপোর্টার মেহেদী হাসান তার সহকর্মী মশিউর রহমান ও আলামিনের ওপর এলোপাতাড়ি ভাবে দফায় দফায় হামলা করেন ঐ এলাকার বিএনপির নেতাকর্মী, পরীক্ষার ডিউটিরত শিক্ষক তুহিনসহ কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দেওয়া প্রিন্সিপালের গুন্ডাবাহিনী। এ সময় ভিডিও ক্যামেরা, মেমোরি কার্ড, ঘড়ি চশমা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন।

গোপন সূত্র অনুযায়ী, পরিক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে জানতে পাওয়া যায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ছাত্র শিক্ষকের কন্টাকের বিনিময়ে প্রতিটি পরিক্ষা হল রুমে ফোন মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় নকলের মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।

এর গত পরীক্ষায় ৪/৫/২৫ তারিখে পরিক্ষা সেন্টারের হলরুমে সরেজমিনে কয়েকজন সাংবাদিক ঢুকতে চাইলে প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদীন বাধা দেন । বলেন এখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না।কিন্তু সাংবাদিকরা পরীক্ষা সেন্টারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব থাকা  কাউকে দেখতে পাননি । এরপর প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদীন ফোন কলের মাধ্যমে ট্যাগ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম আধা ঘন্টা পর কাউনিয়া থেকে এসে বিভিন্ন অজুহাত দেখান। পরে প্রিন্সিপাল দুই ঘন্টা উনার অফিসে বসে রেখে পরীক্ষা শেষ করে আমাদেরকে পাঠিয়ে দেন।

গতকাল পরীক্ষা চলাকলের সময় আবার আবার কয়েকজন সাংবাদিক পরীক্ষার মাঝামাঝি সময় গেলে সেই সময় তিনি ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। গতকালেও ট্যাগ অফিসার পরীক্ষা সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন না।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুরোধে আধা ঘন্টা পর ট্যাগ অফিসার এসে নানা অজুহাতের কথা আবার জানান পরে উনার সহযোগিতায় আমরা পরীক্ষার হলরুমে গিয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখতে পারি। সেখানে প্রতিটি ছাত্র ও শিক্ষকদের হাতে এন্ড্রয়েড ফোন সরেজমিনের দেখতে পাই। এছাড়াও প্রতিটি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বাথরুমগুলোতে চলমান পরীক্ষার বই নোট দেখতে পান সাংবাদিকরা। সেখানেও ট্যাগ অফিসার বক্তব্যে নিজে দায় এড়ানোর জন্য হতাশ হয়ে বলেন এটা কিভাবে সম্ভব এভাবে পরীক্ষা হতে পারে না। এই সময় ২১৩ নাম্বার রুমে দায়িত্ব থাকা শিক্ষক তুহিন শিক্ষার্থীদের তার ফোন দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন উত্তর পর্ব দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় ট্যাগ অফিসার শিক্ষক তুহিনের ফোন সহ শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষকের ফোন নিজের কাছে রেখে দেন।

এরপর সব বিষয়ে দেখার পর প্রিন্সিপাল রুমে সাংবাদিকরা আসলে প্রিন্সিপাল বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানো শুরু করেন। বলেন তোমরা যেভাবে এসেছো সেইভাবে আর যেতে পারবে না। তোমরা কত বড় হলুদ সাংবাদিক হয়েছো সেটা দেখে নেব।
তোমরা আর ফিরতে পাবে কিনা সন্দেহ আছে বলে হুমকি দেন প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদিন।

দায়িত্ব থাকা শিক্ষক তুহিন ডিউটি ছেড়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা শুরু করেন এবং কয়েক দফা হামলা চালিয়ে যান সেখানেও তিনি ক্ষান্ত হননি পরে শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা সংঘটিত করেন। এইভাবে কয়েক দফা হামলা চালান শিক্ষকসহ প্রিন্সিপাল বাহিনীরা।

অন্যদিকে কাউনিয়া থানার ওসিকে আসতে বললে পরে এসে তিনি আমাদেরকে উদ্ধার না করে ছাত্রদের কাছে তুলে দেয় এই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্ররা মারপিট করেন। ছাত্ররা বলেন থানার ওসি আগে নাকি মারতে বলেছিলেন তাই তারা কোন দিক না দেখে কিল ঘুষি মারা শুরু করেন। বলেন পরেরটা পরে দেখা যাবে।

পরে শিক্ষক ছাত্রদের হাতে আবার তুলিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদীন পরিস্থিতি থেকে নিজে বাঁচানোর জন্য প্রিন্সিপাল জয়নাল আবেদীন জোর করে আপসনামা করে নেন।।

এদিকে শঠিবাড়ী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে এক শিক্ষার্থীর মোবাইলে পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ নকল সরবরাহের দৃশ্য ভিডিও করে প্রমাণ সংগ্রহ করেন সাংবাদিক ফরিদুল ইমন। ভিডিওতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্বীকার করেন, তাকে মোবাইলে প্রশ্ন ও উত্তর পাঠানো হয়েছে।নকল সরবরাহের সরাসরি ভিডিও থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী মিলে সাংবাদিক ফরিদুল ইমনের কাছ থেকে জোরপূর্বক মুচলেকা আদায় করেছে।

এ ব্যপারে একাধিকবার ট্যাগ অফিসার ও কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, কেন্দ্রে নকল এবং সাংবাদিকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রিন্সিপাল, ট্যাগ অফিসার কেউই রেহাই পাবে না।

এ ব্যপারে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। সাংবাদিকরা মামলা করলে আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং