পর্ব -১
বিশেষ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা
গাজীপুর ডিসি অফিসকে তৈরি করা হয়েছে অপরাধ ও অপরাধীর আখড়া হিসেবে।সাবেক আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের দুই চাচা
১’,, কামাল পাঠান(জারি কারক) ডিসি অফিস ও
২,, সজিব পাঠান (অফিস সহায়ক)ডিসি অফিস। এই দুই জন সাবেক অবৈধ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর আপন চাচা
সজীব পাঠান ও কামাল পাঠানের বাবা মৃত আব্দুল বারেক ছিলেন পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী
তার ছেলেরা মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের রাজনৈতিক পরিচয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অবৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন গাজীপুর ডিসি অফিসে। ডিসি অফিসে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর তারা দুই ভাই গাজীপুর ডিসি অফিস কে একটি অপরাধ জগতের আখড়া হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। যার সুবিধা পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ভোগ করে।এরপর তারা যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে গেছেন, তারপর তারা গাজীপুর ডিসি অফিস কে অপরাধ ও অপরাধীর
আখড়া হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাদের নেতৃত্বে গাজীপুর ডিসি অফিসে চলতো ,
নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ বাণিজ্য, অর্থের বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে সই করে নিত। বড় বড় কর্মকর্তাদের বদলির ভয় দেখিয়ে নানা প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যেত।তারা ডিসি অফিসে মুকুটহীন সম্রাটের ভূমিকা পালন করে আসছিল। এখনো তারা দাপটের সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, নানা প্রকার অপকর্মে জড়িত এটা প্রমাণিত। তাদের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। এ দুই ভাই আগে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও নেশাখোর হিসেবে পরিচিত ছিলো, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যুবক ও ক্রীড়া ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের এ দুই চাচা কিভাবে এখনো তাদের পদে বহাল আছে এবং দাপটে গাজীপুর ডিসি অফিসে অপরাধ জগত চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে তাদের দাপটে ডিসি অফিসের কর্মকর্তারা ভয়ে কাজ করতে পারত না। এরা ক্ষমতা ও মাদক ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধ জগত
সজীব পাঠান একজন মাদকাসক্ত প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করেন,ছবি সংযুক্ত, যুব ক্রীড়া মন্ত্রীর কবরস্থানের পাশে গড়ে তুলেছেন, পাঁচতলা বিশিষ্ট এক রাজকীয় বাড়ি যার একতলা কমপ্লিট হয়েছে। বিল্ডিং এর পাশে ৩০০০ স্কয়ার ফিট গোডাউন। তাদের মাও বোন এলাকায় গড়ে তুলেছেন জমজমাট কোটি টাকার সুদের ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন এলাকায় জনকল্যাণ সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কামাল পাঠান প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ও তার ভাই জালাল পাঠান প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশিয়ার। এলাকার মানুষ তাদের অপরাধের কথা তুলে ধরে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ডিসি অফিসে অভিযোগ নিয়ে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়না এই সিন্ডিকেট, আমাদের সাথে থাকুন পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসছে আরো খবর বিশেষ করে মাদক ও অন্যান্য অপরাধের ভিডিও চিত্র