বিশেষ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা
নেত্রকোনা জেলা কেন্দুয়া উপজেলার সরাপাড়া গ্রামের হাফিজিয়া এতিমখানার এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেন অত্র এতিমখানার মুহতামিম সাহেব। দিনের পর দিন এতিমদের উপর নির্যাতন ও অমানুষিক টর্চার করে আসছেন এতিমখানার মুহতামিম সাহেব এ ব্যাপারে আমাদের গণমাধ্যম কর্মী নেত্রকোনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এবং কেন্দুয়া উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাহাকে অবগত করে সরাপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানায় পরিদর্শন করেন পরিদর্শনকালীন দেখতে পাওয়া যায় জাতীয় পতাকার অবহেলা করা হয়েছে তার কোন প্রতিকার নেই। আমাদের গনমাধ্যমে কর্মী জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে হাফিজিয়া এতিমখানার সরকারি কোনো নিয়ম নীতি মেনে চলছেন না দীর্ঘদিন যাবত। তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী হাফিজিয়া এতিমখানার দুজন হুজুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কিনা তখন অত্র এতিমখানার একজন হুজুর উত্তরে বললেন আমরা প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করি তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী পতাকা ও ইস্টার্ন দেখতে চাইলে বলেন হাফিজিয়া এতিমখানার এতিম ছেলেরা ভেঙে ফেলেছে। তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী এতিম ছেলেদের সাথে কথা বলে জানতে পারে অত্র এতিমখানা ও মাদ্রাসার কোন পতাকা উত্তোলন করা হয় না এবং ঠিক মতন খানা দেওয়া হয় না তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী অত্র এতিমখানা ও মাদ্রাসার এতিমদের গণনা করে দশ জন এতিম পাওয়া যায় এবং এতিমদের পোশাক ও তেল সাবান চিকিৎসার টাকা আত্মসাৎ করেন এতিমখানার মুহতামিম সাহেব এ ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে অত্র এতিমখানার মাদ্রাসার সভাপতি সাহেব ও সরাপাড়া গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের সাথে কথা বলেন এবং কি জাতীয় পতাকা আমাদের সামনে হাজির করেন তখন অত্র এতিমখানার সভাপতি সাহেব এবং ব্যক্তিগণ জাতীয় পতাকা দেখে আঁতকে ওঠেন পতাকাটি চারদিক দিয়ে ছিড়ে ফেলা হয়েছে তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী অত্র এতিমখানার হুজুর ও সভাপতি কে জিজ্ঞাসা করেন জাতীয় পতাকার অবহেলা করার রাইট আপনাদের কে দিয়েছে তখন অত্র এতিমখানার সভাপতির চোখ থেকে পানি চলে আসেন এবং চিৎকার দিয়ে বলেন এই পতাকার জন্য আমি এবং আমার সঙ্গী গণেরা ৭১ এর যুদ্ধে আহত হয়েছিলাম এবং হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই পতাকা পেয়েছিলাম আজ আমাদের এতিমখানায় তার অবহেলা আমাকে মর্মাহত করেছেন আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই পতাকা পেয়েছিলাম এবং উনি কান্নায় ভেঙে পড়েন তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী সরাপাড়া গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি গণদের জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তরে বলেন আমরা অতি দুঃখিত ও মর্মাহত এবং কি এই এতিমখানা মাদ্রাসায় লক্ষ লক্ষ টাকা আসে তা আমরা জানতাম না এবং আমরা এই গ্রামের যত লোক আছি এই এতিমখানায় সাহায্য সহযোগিতা করে আসতে ছিলাম তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী কেন্দুয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে অত্র এতিমখানা মাদ্রাসার সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললে তিনি সরাপাড়া এতিমখানার মুহতামিম সাহেবকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আপনার অফিসে আসতেছি তখন সমাজ সেবা কর্মকর্তা বলেন আপনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিবেন তা না হলে আমি আপনার বিরুদ্ধ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিব তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ভুল দেন এবং জাতীয় পতাকার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন পতাকা তো কাপড়ের তৈরি তা ছিড়তেই পারে তাই নিয়ে এত কথা বলার কি আছে তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী বাচ্চাদের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এতিমখানার পরিচালক ও মুহতামিম হিসেবে আমার যা করার দরকার আমি তাই করতেছি দয়া করে আপনারা এ ব্যাপারে কোন কথা আর বলবেন না এবং কি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন এই এতিমখানার যত টাকা-পয়সা আসে তা আমি কোথায় ব্যয় করব তার কৈফত কি আপনাদের দিতে হবে নাকি আমি অত্র এতিমখানা ও মাদ্রাসার ভালো-মন্দ বুঝি তাই এ ব্যাপারে আপনারা আর আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না তখন আমাদের গণমাধ্যম কর্মী হাফিজিয়া এতিমখানার মুহতামিমকে বলেন আপনি শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আপনি কোন কাজে ব্যয় করেন তখন অত্র এতিমখানার মুহতামিম সাহেব বলেন আমি লক্ষ লক্ষ টাকা কি করি না করি সব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রা সবই জানেন।।। আবারো আসছে দ্বিতীয় পর্ব