1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
Title :
এতিমের টাকা আত্মসাৎ ও জাতীয় পতাকার অবহেলা (প্রথম পর্ব) বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার কালো থাবায় আকৃষ্ট হচ্ছে ডিমলার তরুণ প্রজন্ম অবৈধভাবে দান বাক্সের টাকা উত্তোলনের দায় একজন গ্রেফতার টাকা তুলতে ১২% এবং নতুন নাম দিতে ৭৫% ঘুষ নেয়ার অভিযোগ বরগুনার আমতলী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মঞ্জুরুল কাওসারের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় র‌্যাব-৪ এর অভিযানে হাতেনাতে ০২ জন গ্রেফতার সকল সাংবাদিকের আস্থা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গোবিন্দগঞ্জে সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ ২ নারী গ্রেপ্তার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দি ইনভিন্সিবল ৯/১১ ব্যাচের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০২৫ বরগুনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রাজাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনিয়ম ও চুরির অভিযোগ অফিস পিয়ন মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে

বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার কালো থাবায় আকৃষ্ট হচ্ছে ডিমলার তরুণ প্রজন্ম

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ Time View

নীলফামারী প্রতিনিধি

দেশে নতুন আতঙ্কের নাম অনলাইন জুয়া, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে জুয়া খেলা বহু পুরনো এবং প্রচলিত এক প্রকার অবসর-বিনোদনের মাধ্যম, প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে জুয়ার অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে অনলাইন জুয়াতেই এখন মানুষের অংশগ্রহণ বেশি, সেই লক্ষ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তরুণ প্রজন্ম আকৃষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে।

ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের বাজারে এবং পাড়া মহল্লায় তাস খেলা ও অনলাইন জুয়া খেলার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্কুল-কলেজে পড়য়া শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকে পড়ছে এই অনলাইন জুয়ায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে চলে এসব জুয়ার আসর। মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়ার অ্যাপস ডাউনলোড করে সেই অ্যাপসের লিংক অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে চালানো হয় জুয়া। ওয়ানএক্সবেট, বেটবাজডট৩৬৫, ক্রিকেক্স, বেট৩৬৫এনআই ও মসবেটসহ বিভিন্ন জুয়ার সাইটে টাকা পাচার হচ্ছে। প্রথমে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে শুরু করে খেলা। এক পর্যায়ে লোভে পড়ে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশের এজেন্টরা। মাঠে-ঘাটে, হাট-বাজারে এমনকি পাড়ার বাজারে চায়ের দোকানে একপ্রকার প্রকাশ্যেই বসে অনলাইন জুয়ার আসর। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই কোনো সুনিদ্দিষ্ট তথ্য।

উপজেলার একজন জুয়াড়ি জানান, আমি একজন ভ্যান চালক, লোভে পড়ে ছয় মাস আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার সাথে পরিচয় ঘটে। এরপর একে একে বাড়ির গোয়ালে থাকা দুটি গরু বিক্রি করে টাকা গুলো খোয় গেছে সাথে আমর উর্পাজনে মাধ্যম ভ্যানটাও চলে গেছে । এখন বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকা দুস্কও হয়ে পড়েছে আমি পুরোপুরি নিঃস্ব।
উপজেলার কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলেন, লোভে পড়ে বিভিন্ন অযুহাতে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে অনলাইন জুয়া খেলে সব টাকা নষ্ট করে ফেলেছি । একবার আমি (৫০০) পাঁচশত টাকা দিয়ে বেট / বাজি ধরে ৩০০০/= তিন হাজার টাকা জিতি, তারপরে জেতার লোভ আমাকে পেয়ে বসে, য়ার ফলে কলেজের নাম করে বাড়ি হতে অনেক টাকা নিয়ে আমি এখানে বাজি ধরি কিন্তু আর কোন বাজিতে আমি জিতিনি । জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে আমার কিছু বন্ধুরা পা বাড়াচ্ছে অপরাধ জগতে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। আমার বন্ধুরা সবাই এখন এই অনলাইন জুয়া খেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক ও উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ির গ্রামের বাসিন্দা জানান, আমার ছেলে প্রথমে ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম খেলতো। এখন বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে নিয়মিত জুয়া খেলে খেলে। কিছু বলতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। তিনি জানান, জুয়ায় আর্থিক লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন করা যায়।

এই অনলাইন জুয়ার থাবা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সর্বত্র তাই সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সন্তানরা কোথায় কখন কিভাবে কি করছে মোবাইলে কতটুকু সময় দিচ্ছে এবং সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই হয়তো বা রোধ করা যেতে পারে এই জুয়ার ভয়াবহ থাবা। পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট অনুযায়ী, জুয়ার জন্য জুয়ারি কারাদণ্ডসহ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। জুয়া মানুষকে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক সবদিক থেকেই পুঙ্গ করে মেরে ফেলার মতো মানববিধ্বংসী এই মোবাইল জুয়া কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তাই সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

শুধু ডিমলা উপজেলাতে নয় পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ দেশের সব উপজেলা গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন জুয়ার ভয়াবহ থাবা , শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক দিনমজুর ভ্যানচালক,চাকুরিজীবী এমনকি ব্যবসায়ীরাও জড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন জুয়াতে। অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ টাকা উপার্জনের জন্যে তারা এই ধরনের অনলাইন অবৈধ ওয়েবসাইট গুলোতে বাজি/জুয়া খেলছে। এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে আমি শুনেছি অনলাইন জুয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, আমরা চেষ্টা করছি জুয়ার এজন্টেদেরকে ধরতে তাদেরকে ধরতে পারলে অনলাইন জুয়ার প্রসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved