নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ প্রতিবছরই বন্যা হয় কিন্তু ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীতে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পানির পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ যার ফলে ২০২৪ সালের জুন-জুলাই মাসে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।২০২৪ সালে জুন-জুলাই মাসের ভয়াবহ বন্যায় মানুষের বসত-ভিটা , গরু- ছাগল, হাস- মুরগি আবাদি জমি, ফসল সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্কুল, মাদ্রাসা, বাড়িঘর রাস্তাঘাট সব পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানা যায় যে,
প্রতাপ বাসার , হাবিব মুন্সী, ইসহাক মোল্লা,খালেক মৃধা, রাজীব ও শামীমদের মতো মানুষের বসত-বাড়ি, গরু -ছাগল হাস -মুরগি, ফসলি জমি সহ সব বন্যায় ধ্বংস হয়েছে। এদের মত হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় অনাহারে জীবন যাপন করছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বগাবাইদ, নয়াপাড়া, রশিদপুর, বেলটিয়া, ফৌজদারী মোর, সরদার পাড়া, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর এলাকা।
এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। তাছাড়া
মেলান্দ উপজেলার ব্রিজ ভেংগেছে। জামালপুর সদর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে ১০ গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের মতো বিশাল দুটি নদীর অববাহিকার পানিগুলো পদ্মা নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরের যায়। জামালপুর, ময়মনসিংহ এবং টাংগাইলের যে শাখাটি তৈরি হয়েছে তা প্রায় ২০০ বছর আগের। ফলে এই দিকের নদীর পাড়ের ভূখণ্ড অনেক অপরিণত ও দুর্বল মাটি দিয়ে গঠিত। যার ফলে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণেই পানি বেড়ে গেলে সেখানে ভাঙ্গন বেড়ে যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তথ্য বিভাগের অধ্যাপক সালেহীন খান বলেন , জামালপুর, ময়মনসিংহ সহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে যদি নদী ভাঙ্গন রোধ করা না হয় তাহলে অচিরেই ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঝিনাই নদীতে ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আরো জানা যায় যে, প্রতাপ বাসার এর মত এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তারা কারো কাছ থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় না। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ রাস্তায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের পরিবার এখন প্রায় ভিক্ষা করার মত অবস্থা।