1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
Title :
ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় আ.লীগসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬ ধামরাইয়ে অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সেই কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে ছাত্রলীগ মিছিল করায় ১৯ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার-২ কোবে শহরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার ২০২৫ নবনির্বাচিত কোবে বাংলাদেশ সোসাইটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুই ঘন্টা আল্টিমেটাম দেওয়ার পর ৭ জন প্রতিনিধর সাথে শাহবাগ থানায় বৈঠক করেছেন রমনা জোনের পুলিশের ডিসি মাসুদ আলম কাফনের কাপড় পরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল   রোগীর মৃত্যুর ঘটনা জানাতে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংবাদ সম্মেলন বিএনপি গণমাধ্যমর পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে ,মিরপুর প্রেসক্লাবের কাউন্সিলে আমিনুল, মিল্টন ও তুলি ১ম থেকে ১২ তম নিবন্ধন ধারীরা নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ উত্তাল গোবিন্দগঞ্জে হানি ট্র্যাপ,প্রতারক চক্রের এক নারীকে আটক

নিষিদ্ধ ‘চায়না জাল’, এ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশি প্রজাতির মাছ, নেই প্রশাসনের তৎপরতা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৭১ Time View

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::

জালের নাম “চায়না জাল”। গড়ে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা। এক ফুট পরপর ছোট-বড় মাছ প্রবেশের পথ। প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না। এই জালে রেনু পোনা থেকে বড় মাছ এমনকি জলজ প্রাণি সবই আটকে যায়। বিশেষভাবে তৈরি এই জাল মাছের মরণফাঁদ। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও উপজেলার খাল-বিল, নদী-নালা এই জালে সয়লাব। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় এসব জাল অবাধে বিক্রি করছেন। অপরদিকে এক শ্রেণির মানুষ এগুলো খালে-বিলে, নদী-নালায় ব্যবহার করে দেশি প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার সংকটে ফেলছে।

সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, ডোবা-নালা এবং নদীতে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ঘনভাবে প্লাষ্টিকের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ ফুট জালের দাম ২ থেকে ৩ হাজার এমনকি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে জাল-সুতার দোকান এমনকি মুদি-মনোহারী দোকানেও প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে এই জাল খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় সব এলাকায়ই এই জাল ব্যবহার করা হলেও চরাঞ্চলে এই জালের ব্যবহার বেশি হচ্ছে।

কালাইয়া এলাকার স্কুল শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চায়না দুয়ারি জাল মারাত্মক ধ্বংসাত্মক। এ জালে মাছের সাথে রেনু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণিও মারা পড়ছে। এতে দিনদিন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পৌর শহরের মাছ ব্যবসায়ী মো. রুবেল সিকদার জানান, এক সময় বাজারে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। গত কয়েক বছর ধরে আর আগের মত দেশি মাছের দেখা মিলছে না। বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল, মাত্রাতিরিক্ত কিটনাশক ও সার ব্যবহারের কারণে খাল-বিল, ডোবা-নালায় দেশি মাছ বিলুপ্তি হচ্ছে।

হাটে-বাজারে নিষিদ্ধ এই জাল বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এ জালের ব্যবহার বন্ধের দাবি করে বাউফলের সুশীল সমাজের একাধিক ব্যক্তি মনে করছেন, এমনিতে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে, এই জাল দিয়ে দেশি মাছের রেনুপোনাসহ বিভিন্ন জলজপ্রাণি ধ্বংস করা হচ্ছে। এরফলে দেশি মাছের যে কয়কটি প্রজাতি টিকে রয়েছে তাও অরিচেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারা দাবি করেন, নিষিদ্ধ এই জাল ব্যবহারের উপর প্রশাসনের কঠোর নজরদারি করতে হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চায়না দুয়ারিসহ সকল নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযান চালিয়ে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আগামিতে আরও ব্যাপক ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved