তোফায়েল আহমেদ, ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি
গত উনিশে অক্টোবর ২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গণপ্রাজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকাররের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলমান কার্য়ক্রম, সাড়া বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাহায্য, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, মাতৃকালীন ভাতার উপকাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত প্রায় চার হাজার উপকারভোগী জনগন এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ঢাকা ২০ ধামরাইয়ের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ- সভাপতি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। উদ্বোধক- জনাব গোলাম কবীর – মেয়র, ধামরাই পৌরসভা ও সাধারন সম্পাদক ধামরাই, উপজেলা আওয়ামী লীগ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক আইয়ূব, সদস্য- ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও সভাপতি- কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামান, সভাপতি-কুশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান- কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদ। বিশেষ অতিথি বৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান-বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ- যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ. ধামরাই, ঢাকা। জনাব খালেদ মাসুদ খান লাল্টূ-যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদ। জনাব প্রফেসর আওলাদ হোসেন- চেয়ারম্যান- সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ। জনাব এ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা-আইন বিষয়ক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, ধামরাই, ঢাকা সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মাননীয় সংসদ সদস্য বলেন আজকে সত্যি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে কারন সাড়া পাচটি বছর আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও, সমাজ কল্যান অফিসার, কৃষি অফিসার, বিভিন্ন ভাবে আমরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহ আমরা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, দুখি মানুষ, বিধবা, অন্তসত্বা মা , বয়স্ক তাদের দেখার কেউ ছিলনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রথম তাদের সকল সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেন আমরা সতের কুটি মানুষ একটি পরিবারে আছি এবং সেই পরিবারের প্রধান হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। একটি মানুষের জীবনে সরকার থেকে পাচ টি জিনিসের নিশ্চয়তা দিতে হবে যদি সেটা জনগনের সরকার হয়। প্রথমে তাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে । খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ্ করার জন্য কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করে দিয়েছেন। গ্রামে গ্রামে চিকিৎসার জন্য আঠারো হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে আছে বিনা পয়সায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গিয়ে উনত্রিশ রকমের ঔষধ আপনার বিনা পয়সায় পাচ্ছেন। বাসস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই ত্রিশ লক্ষ লোক কে ঘর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রাইমারি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনা পয়সায় বই বিতরণ করছেন । তিনি বলেন বস্ত্র খাতেও সরকারের সাফল্য ব্যপকতা। তিনি আরও বলেন আমাদের এই সতের কুটি মানুষের বাবা মায়ের ভূমিকা পালন করেন শেখ হাসিনা । তিনি কিন্ত প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি যেতে পারেন না। প্রধান মন্ত্রী আটষট্টি হাজার গ্রামে তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের মাধ্যমে আপনাদের কাছে এই সেবা পৌছে দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন একটি শান্তির দেশ। এই দেশ আর কোন দিন পিছিয়ে যাবে না। শেখ হাসিনার আবারও ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। আমাকেও আপনার অনেকবার ভোট দিয়েছেন । দুইবার আমি এমপি হয়েছি। দুই বারে এমপি হয়ে আমি পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ন করেছি। আকাজেই আগামী নির্বাচনে আবার যদি আমাকে নির্বাচন করেন আগামী পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ন আমি করে দিয়ে যাব। তাই আগামী নির্বাচনেও আপনার সবাই দয়াকরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিবেন।