অথই নূরুল আমিন
২৮ অক্টোবর বলে কথা নয়, ২৯ অক্টোবর হরতাল একটি বা একাধিক দল ডাকতেই পারে। আমি মনে করি এটা তাদের নাগরিক অধিকার। তবে কথা থাকে যে, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে দেশের আপামর জনগুষ্টির জন্য যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছে। তা বাংলাদেশের অতিত ইতিহাসের সর্ব বৃহৎ উন্নয়ন।
আজকে সেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন দেশের সিংহভাগ জনগণ। গতকাল যারা সরকার পতনের সমাবেশ করেছেন। আজকে যারা হরতাল ডেকেছেন তারাও সেই উন্নয়ন ভোগ করছেন। তবে শর্ত থাকে যে মানুষের চাহিদার তো শেষ নেই।
সেই চাহিদা উপলব্দি করলে আপনি অবশ্যই অন্য দলের উন্নয়ন স্বীকার করবেন না। এটাই স্বাভাবিক।
২৮ অক্টোবর ২০২৩ বিএনপি নেতারা মঞ্চে দাড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের পতন চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। শেখ হাসিনা বর্জন সহ ইত্যাদি শ্লোগান দেশে বিদেশের জনগণ শুনতে পেয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে।
আমিও বলি তাদের শ্লোগান তাদের নীতি আদর্শের সাথে মিল আছে।
তবে পুলিশ হত্যা এবং আহত, অসংখ্য সাংবাদিক আহত হলো কেন? কেন গাড়িতে অগ্নিসংযোগ কেন?
২৮ অক্টোবর ২০২৩ বিএনপি সহ সমমনা দল গুলোর ডাকা সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সরকার পতনের আন্দোলন ইস্যুতে তৃণমূলের জনগণ এক কথায় আমজনতার কোনো উপস্থিতি ছিলো না। দলীয় পদাধিকারী যারা আছে। তাদের মতামত দলীয় সভা সমাবেশে উপস্থিত থাকলে প্রমোশন। না আসলে ডিমোশন।
আমার এই কলামে আমি শুধু এতোটুকু বলতে চাই।
বিএনপি যেহেতু তাদের সমাবেশে দেশের আপামর জনগণের কথা না বলে তাদের এক দফা দাবি পেশ করেছে। এখানে দেশের জনগণ আবারো বিএনপির প্রতি আস্থা হারিয়েছে।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারকে হঠাতে হলে বিরোধী দলের দাবী আদায়ে বাধ্য করতে হলে দেশের জনগণের কথা বলতে হবে। যেমন বতর্মান অবস্থা এবং আগামী দিনের সুফলের সু পরিকল্পনা পেশ করতে হবে।
২৮ অক্টোবর ২০২৩ বিএনপির সমাবেশে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের ভাষণ শুনে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
আমাদের গাঁও গেরামে দুই ভাই যখন পিতার সম্পদের ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে যখন ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। কেউ বলে টানের জমি আমি নিব। কেউ বলে উঁচু জমি আমি নিব। কেউ বলে আমি দক্ষিণের ভাগ চাই ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই বিষয় গুলো গতকাল দেশের সকল পেশার জনগণের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। দেশের জনগণ বুঝে গেছে তাদের ভাষা। কি তাদের চাওয়া। দেশের জনগণ বুঝে গেছে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের জনগণ বুঝে গেছে পাকিস্তানের পোষা সেই জামায়াত শিবির এখনো বিএনপির সাথেই আছে।
তাহলে তাদের লক্ষ্য এবং উদ্যেশ্য মোটেও ভালো নয়।
এছাড়া দেশের জনগণ তাও বুঝে গেছে বিএনপি দেশের জনগণের সমর্থন বা ভোটের আশা বাদ দিয়ে আমেরিকাকে ঢাল হিসাবে নিয়েছে। আমেরিকা তাদেরকে যেন ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। যার জন্য আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসের সাথে সখ্যতা আজ খুবই গভীরে।
আমার কথা হলো একটি রাজনৈতিক দলের মাঝে থাকবে দেশপ্রেম। একটি জাতি গঠনে থাকবে গভীর পরিকল্পনা। জনগণের কল্যাণে সমাজ উন্নয়নের বার্তা আসবে সবসময়।
পরিশেষে বলতে চাই দেশের সকল রাজনৈতিক দলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করা হোক। যে ধরনের কর্মসূচিগুলোর মাঝে দেশের আপামর জনগণের সুবিধা নিহিত থাকে তাই করা হোক।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।