1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
Title :
কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা  ডিমলার ভূমি কার্যালয়ের নারী কর্মচারী ঘুস নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত বগুড়া উন্নয়নে ধানের শীষের বিজয় ছাড়া বিকল্প নেই — সাবেক ছাত্রনেতা আরমান হোসেন ডলার বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা” সভাপতি নাসির, সম্পাদক মুন্না গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা ধামরাইয়ে ‘লকডাউনে’ নাশকতা ঠেকাতে বিএনপি’র মোটরসাইকেল শোডাউন  আওয়ামী লীগের ঘোষিত লক ডাউনের নামে নাশকতা রুখে দিতে রূপগঞ্জ তারবো পৌর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত লকডাউন ঠেকাতে ঢাকার ধামরাইয়ে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকার ধামরাইয়ে র‌্যাব-৪ এর অভিযানে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে যৌথবাহিনীর চেকপোস্টে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৯১ Time View

মো: মিজানুর রহমান
(ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি)

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশীদের জন্য গৌরব উজ্জ্বল একটি দিন। দিনটি মহান শহীদ দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য অন্তহীন প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার দাবিতে বাংলাদেশী তরুণদের সেদিনের আত্মদান শুধু ভাষার অধিকার হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ক্রমে ক্রমে একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন ও অঙ্গীকার দানা বেঁধেছিল। সে স্বপ্ন পূরণের রূপ স্বাধীনতাসংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আমাদের পথ দেখিয়েছে। তাই ফেব্রুয়ারি মাস স্বাধীনতা, মুক্তি, সাম্য, গণতন্ত্র—আধুনিক বাঙালির সব শুভ চেতনার মাস।
আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। মাতৃভাষা বাংলার জন্য বাংলাদেশীদের আত্মত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে পৃথিবীর সব জাতি-গোষ্ঠীর মাতৃভাষার স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে। বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের এই দেশেও সংখ্যার দিক থেকে ছোট অনেক জনগোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন মাতৃভাষা রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশীদের ভাষা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা প্রকাশের সুযোগ অবারিত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আমরা নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী উৎসবের আবহ লক্ষ করা যায়।গতবছর এই মেলার পরিসর বাড়িয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে, যা প্রকাশক ও পাঠকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহরেও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করি।
কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের মূল যে লক্ষ্য সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রবর্তন, তা আজও পূরণ হয়নি। সরকারি কাজকর্মে বাংলা চালু থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, গবেষণাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ইংরেজির প্রাধান্য লক্ষণীয়। বাংলায় আইন প্রণীত হলেও উচ্চ আদালতে এখনো বাংলা চালু হয়নি। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের একাংশ মাতৃভাষা বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি রপ্ত করতেই বেশি আগ্রহী। শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমের প্রসার ঘটে চলেছে, সাধারণ বিদ্যালয়েও বাংলা অবহেলিত।
শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, সর্বস্তরে মাতৃভাষার প্রচলন ঘটলেই কেবল তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। শিক্ষাসহ জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমে প্রয়োজন একটি জাতীয় ভাষাপরিকল্পনা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কিছু স্থায়ী প্রতিষ্ঠান ও মানুষ, যাঁরা বাংলা ভাষার বিকাশের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাবেন।
একুশের চেতনা শুধু এক দিনের বা মাসের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, এর যে সার-সত্য, সর্বস্তরে মাতৃভাষার প্রচলন, মাতৃভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে নিয়ত প্রত্যেক নাগরিককে নিবেদিত থাকতে হবে; সেটাই হবে ভাষাশহীদদের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন।
সকল ভাষাশহীদদের বিদ্রোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved