অথই নূরুল আমিন
চেয়ারম্যান পদে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, মেম্বারের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত। বৈঠকে মতামত দেওয়া ছাড়া কোনো পদ পাবেন না এমপিরা,
এই ধরনের জগাখিচুড়ি বা গোজামিল পরামর্শ যদি একটি কমিশন থেকে আসে। তাহলে একটি জাতি পিছনে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
স্থানীয় সরকার কমিশনকে আমি বারবার বলেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন যত সুন্দর বা যত আধুনিক হবে। ততই দেশের উন্নয়ন, সমাজ উন্নয়ন এবং জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথমেই ভোটার পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। এখানে প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে, সমাজের কোন্ কোন্ শ্রেণির লোক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে বা করতে পারবেন ।
যতদিন পর্যন্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার পদ্ধতির পরিবর্তন না আনা হবে, ততদিন পর্যন্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া যাবে না। আমার পরামর্শ মতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শুধুমাত্র তারাই ভোটার হবেন। যারা মেট্টিক অথবা এসএসসি পাশ বা তার উপরের শিক্ষিত জনগণ।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সংস্কার গুলো নিম্নরুপ :
১. শুধুমাত্র মেট্টিক অথবা এসএসসি পাশ এবং তার উপরের জন্মসূত্রে বাংলাদেশিরা ভোট প্রদান করার জন্য ভোটার হবেন । ভোট প্রদান নামে আলাদা কার্ড থাকবে ভোটারদের। আর অন্য ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ড ঠিকই থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই ভোটার কার্ড পাবেন। তবে ভোট প্রদান কার্ড পাবেন শুধুমাত্র মেট্টিক পাশ অথবা তার উপরের নাগরিকেরা তবে সরকারি চাকরিজীবনে কেউ ভোটার কার্ড পাবেন না। অবসরপ্রাপ্তরা ভোট প্রদান ভোটার হতে পারবেন।
২. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের থাকবে ভিন্ন ভিন্ন প্যানেল। প্যানেল পদ্ধতিতে প্রতিটা ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটির মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
(ক) ইউনিয়ন নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান,তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং নয়জন মেম্বার মিলে হবে একটি প্যানেল এমন একটি কোর্ড নম্বর একটি ব্যালট। এরকম ভাবে যত খুশি তত প্রার্থী বা তত প্যানেল থাকতে পারে। এককথায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো মার্কা থাকতে পারবে না এবং একক ভাবে কোনো ব্যক্তি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে ও পারবে না।
( খ) একই পদ্ধতিতে পৌরসভা এবং সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শর্ত থাকে যে, প্যানেল নির্বাচনের দায়বদ্ধতা হলো, বিজয়ী প্যানেল থেকে যেকোনো একজন ব্যক্তি, জাতীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করে যদি অপরাধী হয়। দুর্নীতি সহ অপরাধ প্রমাণিত হলে, যদি আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে ঐ প্যানেল সম্পূর্ণ ভাবে অকার্যকর হবে।
তবে বর্তমান স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বলেছেন স্নাতক পাশ জনপ্রতিনিধি থাকতে হবে। এরকম প্রস্তাবের সাথে আমি একমত পোষণ করছি ।