ইত্তিজা মনির
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সরকারী সকল বরাদ্ধের ভাগ দিতে হবে তালতলী উপজেলার বিএনপি নেতা মোঃ ফোরকান গাজীকে। ঠিক ভাবে ভাগ না দিলে পরিষদ চালাতে পারবেনা এ রকম হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে বড় বগী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সহ সকল ইউপি সদস্যদের।
৫ই আগষ্টের পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ফোরকান গাজী সময় অসময় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরকারী বরাদ্ধের একটি অংশ পাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে প্যানেল চেয়ারম্যান সহ অন্য সকল ইউপি সদস্যদের। রীতিমত ফোরকান গাজীর চাপে পরিষদ চালাতে হিমশীম খেতে হচ্ছিল সংশ্লিষ্ট সকলের।
২৪ মে বিকাল ৩:০০ টায় পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার পর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল বড়বগী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাওঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন সাথে ছিল ইউপি সদস্য আলী আহমেদ মালিপাড়া স্লুইজগেটে তাদের যানবাহন অটোরিকশা রোধ করে বেদম মারধর করে ফোরকান গাজী ও তার লোকজন।
মারাত্মক আহত মাওঃ আনোয়ার হোসেনকে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন রক্তাক্ত আনোয়ার হোসেন কে। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন আমি এই ফোরকান গাজীর জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত সকল কিছুতেই তার হস্তক্ষেপের সম্মুখীন হতাম সে সকল কিছুর অংশ আমাদের কাছে দাবী করত। তার চাহিদামত দিতে না পারলেই বিভিন্ন ভাবে হুমকি দুমকি দিত এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের মার খেতে হল।
ফোরকান গাজীর এ ধরনের চাহিদার যোগান নিশ্চিত করতে না পেরে বড়বগী ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ উম্মে সালমার কাছে।
মারের ঘটনার পরিপেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ নামা তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহানের বরাবর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মোঃ শহিদুল হককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ফোরকান কাজী একটু বে পরোয়া সে বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতার ছত্রছায়ায় চলেন। ফোরকান গাজীর এ ধরনের কর্মকান্ড উপজেলা বিএনপি বিব্রতকর অবস্থায় আছে তার সম্পর্কে জেলা বিএনপি কে লিখিত ভাবে জানানো হবে।