1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
Title :
সেনানিবাসে সৈনিকের আত্মহত্যা : অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত, রেখে গেল ছোট্ট দুই সন্তান নারী অধিকার বনাম ধর্মীয় মূল্যবোধ: কোন পথে আমরা? পলাশবাড়ীতে পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সিদ্ধান্ত না নিয়েই শেষ হয়েছে শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ পাওয়া ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়ে ডাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা বাউফলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন মামলার চার্জশীটে আওয়ামী নেতাদের নাম বাদ না দেওয়ায় তদন্তকারীকে বদলী দীর্ঘদিন অচল বাঙলা কলেজের ওয়েবসাইট, চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে বাংলাদেশ মিরপুর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা আটক ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় প্রায়ত ডাঃ প্রণব কান্তির স্মৃতি চারন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দূর্নীতির শ্রেষ্ঠ আখড়া এনটিআরসিএ’র রাহু গ্রাস থেকে মুক্তির পথ কি ?

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ৪৯২ Time View

তাসলিমা খাতুন সাওফা:

স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবৈধ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তাকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠানের নামঃ এনটিআরসিএ নামক আজব প্রতিষ্ঠান যা নিউ ইস্কাটন গার্ডেন বোরাক টাওয়ারে অবস্থিত।
৬৪ জেলায় বেসরকারি স্কুুল ও কলেজ এবং মাদ্রাসা গুলোতে ২০১৫ সালে ৩০শে অক্টোবরের পর থেকে যত নিয়োগ সৈরাচারী সরকার দিয়েছেন; তাদের প্রত্যেকের সনদ যাচাই(স্ক্যান) করলেই সুশিল সমাজের চোখে পড়বে।।
এনটিআরসিএ পরপর ১৬ টি নিবন্ধন পরিক্ষা নেন। ১৬ টি পরিক্ষার নিয়ে মাত্র ৩ টি গণবিজ্ঞপ্তি দেন। আর এই ৩ টি গণবিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লিগের বাইরে অন্য কারোর চাকরি পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।।
এত অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে নিবন্ধন ধারী বিগত (০৫-০৬-২২থেকে ২১-১২-২২) ২০০দিন যাবৎ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শান্তি পূর্ন ভাবে আন্দোলন( সকাল সন্ধ্যা অনশন) পালন করেন৷ দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ায় সৈরাচারী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশার বাণী না পাওয়ায় ২১-১২-২২ শিক্ষা মন্ত্রীর উদ্দেশ্য পদযাত্রা শুরু করলে আন্দোলন কারীদের উপর পুলিশ হামলা চালান ও বেধড়ক মারপিট করেন। এতে করে প্রায় শতাধিক নিবন্ধন সনদ ধারী হতাহত হয়। ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি সেক্রেটারি জি.এম ইয়াছিন ভাই কে কল দিয়ে মিথ্যা চাকরির আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন স্হগিত করতে বলেন৷ । জি. এম ইয়াছিন ভাই সেই কলে বলেন, ম্যাডাম, শুনছি এনটিআরসিএ চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিবেন!!
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন ; দিবেনা, আমি নিজে নিষেধ করে দিব।কত বড় মিথ্যা বাদী মহিলা হাজার হাজার জনতা, পুলিশ, সাংবাদিক, মিডিয়া, সাধারণ জনতা, ও কয়েক হাজার নিবন্ধন ধারীদের সামনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু,বাস্তবে কিছক্ষণ পরেই মামলা চলমান অবস্থায় ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেন। আমাদের আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করেন।
১) ০২-০১-২০২৩ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আমাদের সাথে আলোচনায় বসেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সহ সচিব গণ।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন,
আইনের বাইরে আমি যেতে পারবো না। নিবন্ধন ধারীরা বলেন মামলা তো চলমান।সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দিপুমনী অত্যন্ত গর্বের সহিত অহংকার নিয়ে বলেন, আইন সরকারের (আমার) পক্ষেই আসবে। এই কথা বলে সকল নিবন্ধন ধারীদের হতাশ করে উনি চলে যান৷
শতবার অনুনয়-বিনয় করেও উনার মন গলাতে ব্যার্থ হয় নিবন্ধন ধারীরা।
নিবন্ধন ধারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।।
২) কিন্তু বাস্তবে তার ঠিক ১ মাস পরেই (০২-০২-২০২৩) তারিখে মামলা দেরিতে করায় রায় নিবন্ধন ধারীদের পক্ষেই আসে।
(২২-০২-২০২৩)তারিখে রায়ের কপি বের হয়।।
রায় নিবন্ধন ধারীদের পক্ষে আসায় সবাই আবার আশার আলো ( সোনার হরিণ) খুঁজে পাওয়ার মতো খুশি হন। কিন্তু
সেই খুশি আর বাস্তবে রুপান্তরিত হতে দেন না ফ্যাসিষ্ট সৈরাচারী আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনা সহ দিপু মনি।।
নিবন্ধন ধারীর পক্ষ থেকে আবার মামলা রিভিউ করেন।
সাধারণ নিবন্ধন ধারীদের পক্ষ থেকে কেউ এনটিআরসি অফিসে গেলে, তার সাথে
আইন বিষয়ক সচিব লুৎফর রহমান, ওবাইদুর রহমান অত্যন্ত
দূর্ব্যবহার করতেন। । ওবাইদুর রহমান একটা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের সামনে বলেন ১০০ বছরেও নিবন্ধন পরিক্ষা দিতে পারবে কিন্তু ৩৫+ হলে চাকরিতে নিয়োগ সুপারিশ পাবেনা।
যা হাস্যকর!!!
তাহলে তাদের উদ্দেশ্য কি??
আবেদনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা?? দিপুমনীর আশীর্বাদের হাত এনটিআরসি এর মাথায় থাকাতে নিবন্ধন ধারীদের সাথে জঘন্যতম ঘৃণিত আচরণ করতেন ।।
নিবন্ধন ধারীদের ঠকিয়ে ৩১মার্চ ২০২৪ তারিখে ৯৬৭৩৬ টি শুন্য পদের বিপরীতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দেন।
২০শে আগষ্ট ১৯৫৮৬জন কে সুপারিশ প্রাপ্ত করেন। তার মধ্যে ৭ হাজার পদোন্নতি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে।।
শুরু থেকেই বারংবার মামলার রায় নিবন্ধিত দের পক্ষে আসাতে
সরকার পক্ষ ( এনটিআরসি)
সকল রীট ও কন্টেম্ট মামলা একত্রিত করে ৭১/২৩ নং সিএ নামে মামলা চালায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালে (০২-০৭-২০২৪) তারিখে মামলার শুনানি হয়।
সেদিন এনটিআরসি এর আইন জীবি এস. কে. মোরশেদ আলম ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট কথা বলেন। আর এদিকে নিবন্ধন ধারীদের দের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিষ্টার কামালুল আলম স্যার কে মাত্র (১২মিনিট) কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার রায় ঘোষণা হয় গণভবনের মতাদর্শেই ৩০ জুলাই, ২০২৪ ইং তারিখে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রধান বিচারপতি; ওবাইদুল হাসান। মামলার রায় খারিজ করে দেন। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে রায় প্রচারিত হয়। যাহা জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কিত।বাংলাদেশের চরম নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মুহূর্তেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিংস্র থাবার স্বীকার ছাত্র সমাজ। পাখির মতো গুলি করে শতশত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হত্যা করায় উন্মাদনায় লিপ্ত ছিলো ক্ষমতায় থাকার লোভে। একচেটিয়া ভাবে তার ইচ্ছে মতো সমগ্র বিচার বিভাগকে হাসিনার নিজের মন গড়া ভাবেই তার পালিত বিচারপতিদের ব্যবহার করে নিজের পক্ষে রায় নিয়ে নেন৷ যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকার সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করেন।।
সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সাথে তিনি যা করেছেন সেই দিনের কথা কেউ ভুলে যান নি।। নেটওয়ার্ক বন্ধ করেছেন,
কার্ফুজারী করেছেন। ৩৬ দিন ধরে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন।আবু সাঈদ, মুগ্ধ, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৬ দিন আগে সরকারের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।।
যদি আর এক সপ্তাহ পর রায় ঘোষণার ডেট পড়তো ; তাহলে তো ১২-০৬-১৮ সালের আগের সকল নিবন্ধন ধারীদের নিয়োগ দিতে এনটিআরসি এ বাধ্য হতো।।
তবে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাননীয় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একটা ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন; ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিতর্কীত সকল আইন বাতিল।। স্যারের এই মূল্যবান বার্তা থেকেই বুঝা যায় ;
এনটিআরসিএ’র পক্ষে জোর পূর্বক রায় নিয়ে নেন ; সেটা তো বাতিল হওয়া উচিত।।
কারন পূর্বের সকল রায়ই ছিলো
নিবন্ধন ধারীদের পক্ষে।।
তাছাড়া সেই জুলুমকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নেই, তাদের মনোনীত বিচারপতি ও আইনজীবী নেই।

*”””কেউ কথা রাখেনি* “”

৫ ই আগষ্ট বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়। নতুনভাবে আমরা জীবনযাপনের সুযোগ পাই।
সৈরাচারী দূশাসনমুক্ত জীবন!!
কিন্তু আসলেই কি জাতী স্বৈরাচার মুক্ত হতে পেরেছে?
আমরা (১২-০৮ -২০২৪) তারিখ
এনটিআরসি এ অফিসের সামনে মানববন্ধন পালন করি। এরপর (০৪-০৯-২০২৪)তারিখ এনটিআরসি এর সামনে
আন্দোলন ( অবস্হান) কর্মসূচি করা পালন হয়।ঐ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন না। উনার পক্ষ থেকে সচিব সিদ্দিকুর রহমান বেলাল স্যারের সাথে আমাদের একটা প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা অন্তে সচিব বলেন;
ডাটাবেইজ তৈরি করে (১ম-১২তম) দের জন্য একটা বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা দ্বায় মুক্ত হতে চাই। উনার হিসাব অনুযায়ী একটা ধারণা দেন আমরা নিয়োগ বঞ্চিত আছি কমবেশি হাজার দশেকের কাছাকাছি। তারপর
৬ ষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তি দিবেন।

(সেই কথা ও রাখেন নি)

আমরা আবার শাহবাগে
(১৭-১০-২০২৪) তারিখ
অবস্থান কর্মসূচি পালন করি।
তখন প্রশাসনের তরফ থেকে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটা প্রতিনিধি দলকে নিয়ে যাওয়া হয়।সারাদিন অপেক্ষা করার পর বলা হয় ১সপ্তাহ ধৈর্য ধরতে, সেই ১ সপ্তাহ আজও পূণ হলোনা।

(কেউ কথা রাখেনি)!!!

আমরা আবার, (২২-১২-২৪)
এনটিআরসি এ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করি।(২২-১২-২৪) প্রধান উপদেষ্টা এ পি এস স্যার
সাব্বির আহমেদ এর সাথে সাক্ষাৎ করি। আমরা বিশেষ ভাবে অনুরোধ করাই এনটিআরসি এ অফিসের সামনে এসে আন্দোলনরত নিবন্ধন ধারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন ও প্রশাসনের মাধ্যমে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে একটা প্রতিনিধি দলের আলোচনার টেবিল তৈরি করে দেন। ঐ দিন চেয়ারম্যান ও প্রতিশ্রুতি মূলক চিঠি ইস্যু করেন।
সেই চিঠির ও বাস্তবায়ন হয়নি৷

( কেউ কথা রাখেনি)

সর্বশেষ আমরা (১০-০২-২৫)
তারিখ শাহবাগে অবস্থান করি।
এক পর্যায়ে নিবন্ধন ধারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ঐ দিন নিবন্ধন ধারীদের উপর
পুলিশ অমানুষিক, নির্মমভাবে নির্যাতন করেন । ঠিক স্বৈরাচারী সরকারের আমলের মতো।১৫০ জনের মতো মারাত্মক ভাবে আহত হন।
১৪ জন কে এরেস্ট করা হয়৷
জলকামান ব্যবহার করা হয়, টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়, বেধড়ক ভাবে লাঠিচার্জ করা৷ এত নির্যাতন সহ্য করেও প্রশাসনের নির্দেশে সন্ধায় আমরা শাহবাগ ত্যাগ করি। তীব্র শীতের রাতে শহীদ মিনারে সারারাত নিঝুম অন্ধকারে রাত্রি যাপন করি। এক ভাই দীর্ঘদিন কেমায় থাকেন।
ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য বৈধ সনদ ধারী কষ্ট সত্যিই নজিরবিহীন। যা সুশিল সমাজে কলঙ্কিত অধ্যায়। যেখানে হাজার হাজার জাল সনদ ধারী (অবৈধ সনদ ধারী) দাপটের সহিত কর্মরত।
এ কেমন বিচার ?
(১১-০২-২০২৫) প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের প্রতিনিধি দলের ৮ জনকে পুলিশের গাড়িতে করে সচিবালয়ে
নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকের মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে আমাদের নিজ নিজ বাড়িতে খোঁজ খবর নেওয়া হয় আমরা কেউ আওয়ামী লিগের আছি কি না!!
৪ ঘন্টা বসিয়ে রেখে যুগ্ন সচিব বরাত হোসেন চৌধুরী স্যারের সাথে কথা বলার সুজোগ করে দেন৷ বরাত হোসেন চৌধুরী স্যার বলেন:
শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব
স্যারের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নেতৃবৃন্দকে বলেন আপনাদের কথা ও দাবী যথেষ্ট যৌক্তিক, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সমাধানের জন্য মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব স্যারের কাছে উপস্থাপন করবো।

আগে না হয় রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিলো নির্বিচারে, দূর্নীতি, অনিয়ম করে গেছে।
কিন্তু এখন তো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই ;
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা,
মাননীয় আইন উপদেষ্টা,
এনারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
আমার বাবাও একজন সরকারি কলেজের অবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল।
একজন শিক্ষকের মেয়ে হিসেবে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা সহ অনেক উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ফলে একজন শিক্ষক এর মেয়ের প্রতি অন্য একজন শিক্ষকের মমত্ববোধ থাকা স্বাভাবিক। সেই হিসেবে আমি প্রত্যাশা করি এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ধারী দের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে যা যা করা উচিত তাই করবেন বলে আশা করি।

এবার আসি ; *এনটিআরসিএ’র অনিয়ম অবহিত* করা প্রসঙ্গে।

১)একজন এর সনদ অন্য জনে ব্যবহার করে চাকরি করছেন।
২) ২লক্ষ টাকায় সনদ এবং ৬/৮ লক্ষ টাকায় চাকরি দিয়েছেন। ৬০ হাজার জাল সনদ ধারী নিয়োগ পেয়েছে। অথচ বৈধ সনদ ধারী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। এতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে।
৩) এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ড্রাইভার জিয়ার ৫০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সিস্টেম এনালিস্ট রাসেল কানাডায় বাড়ি গাড়ি করে কানাডায় অবস্থান করছে।
৪)দরখাস্ত করেছে একই প্রতিষ্ঠানে ২/৩ বার, যারা দরখাস্ত করেছে তাদের চাকরি না দিয়ে বলা হয়েছে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি। যারা আবেদন করেছে তারা কি যোগ্য নয়।
৫)আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর শ্যালিকা রাবেয়া সুলতানা কে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
৬) ৩৫ বছরের বেশি বয়স হলে চাকরি দেওয়া যাবে না। অথচ ৩৫ এর বেশি বয়সের ৪৪০ জনকে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৭)এই পরীক্ষা চাকরির সুনিশ্চিত নিয়োগের জন্য। কিন্তু তারা একাডেমিক সনদ বলে। যাহা সম্পূর্ণ অমূলক।
৮)মুখে বলে ৫৪ হাজার, প্রকৃত নিয়োগ দেয় ১২ হাজার। কখনও বলে ৮৭ হাজার, নিয়োগ দেয় ২৫ হাজার। আবার কখনও ৯৬ হাজার শূন্য পদের বিঞ্জপ্তি দিয়ে বাস্তবে নিয়োগ দেয় ১৯৫৮৬ জন। শুধু অশুভংকরের ফাঁকি।
৯) ১২ জুন ২০১৮ সালের আগে যারা পাস করেছি তাদের বয়সের সীমা থাকবে না।সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে।
১০) রিভিউ ৫৪/২১ নং মামলা দেরি করে করার জন্য মামলা খারিজ করে দিয়েছে আমাদের পক্ষে । ২/১/২০২৩ ইংরেজি তারিখে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমাদের সাথে আলোচনায় বলেন, রায় সরকার পক্ষে যাবে। অথচ( ২/২/২০২৩) ইং তারিখে নিবন্ধন সনদ ধারী দের পক্ষেই রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রায় ঘোষণা করার আগেই কিভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন একজন মন্ত্রী।
১১)সংসদে শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল সময় বলেছেন ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবে, ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১টা বিঞ্জপ্তি দিয়ে মাত্র ১৯৫৮৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের ৭ হাজার অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বদলী হয়েছে।
১২)২০২৪ সালে ৩০ জুলাই
সৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সরকার জোর করে আদালত এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে রায় সরকার পক্ষে নিয়ে নেয়।

বিনয়াবনত
*তাসলিমা খাতুন সাওফা*
১০ম এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ধারী ঝিনাইদহ জেলা ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং