আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলীতে অসহায় দুস্থ দরিদ্র হতদরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডের রেজিষ্টেশন করার নামে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিনের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্দন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কয়েকশ ভুক্তভোগি নারী পুরুষ ও অসহায় দরিদ্র মানুষ ।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে (খুড়িয়াখেয়াঘাট) এর সামনে আমতলী কলাপাড়া মহাসড়কে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জালাল মৃধার সভাপতিত্বে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. আবুল কালাম মাষ্টারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন বিএনপি নেতা, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোকলেছ মৃধা,ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি এনাম সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব প্যাদা, ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি ফরিখান মজনু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদলের আহবায়ক মো. হানিফ বয়াতী, ছাত্রদল সভাপতি গাজী সোলায়মান , যুবদল নেতা আমির হোসেন, সাইদুল বয়াতী, ভুক্তভোগি হালিমা বেগম. পাখি বেগম, হাসিনা বেগম,পারুল বেগম . ময়না বিবি. জেসমিন আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, ৬ নং আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মো. নিজাম উদ্দিন ভিজিডি কার্ড রেজিষ্ঠেশনের নামে গরীব অসহায় মেহনতি মানুষের কাছ থেকে এন আইডি কার্ডের ফঠোকপি ছবি জনপ্রতি ১০০ টাকা করে প্রায় ৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন অথচ হতদরিদ্র অসহায় মানুষের নামে কোন অনলাইন রেজিষ্টেশন হয় নাই। আমতলী সদর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের পক্ষ থেকে দূনীর্তি গ্রস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিনের অপসারন ও দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী জানিয়ে এ মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেন । ভুক্তভোগিরা অভিযোগে আরো বলেন যারা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই সচিব নিজাম উদ্দিন তাদের নাম রেজিষ্টেশন করেছেন।
এ ব্যপারে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব)মো. নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আমতলী সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. তাপস খান বলেন ভুক্তভোগিদের অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রোকনুজ্জামান খান বলেন ,এ বিষয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।