বিশেষ প্রতিনিধি, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা
অলৌকিক ক্ষমতাবলে নরসিংদী জেলার আওয়ামী লীগের দোসর ফারুক আহম্মেদ খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরে বহাল তবিয়তে এবং উক্ত অফিসের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ফারুক জানান, সে ২০১৪ সাল থেকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরে কর্মরত আছে, তবে উক্ত অফিস থেকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে বদলী করা হলেও সে সংযুক্ততে গাজীপুর জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসেই রয়ে যায় এবং কাজ করতে থাকেন। ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী দুঃসাশনের অবসান হলেও ফারুক আহম্মেদ খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরেই রয়ে যায়। যদিও ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে তাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুর থেকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, নরসিংদীতে শুন্যপদে হিসাবরক্ষক পদে বদলী করা হয়। কিন্তু ১৯ দিন পর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ঢাকা দপ্তরের ১৩.০১.০০০০.০০০.১৯.০০২.২৪.৩৬৬ নং স্বারকের প্রজ্ঞাপনে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, নরসিংদী এর ২৪/০২/২০২৫ ইং তারিখের ১১২ নং স্বারকের ছাড়পত্র মোতাবেক ২৫/০২/২০২৫ ইং তারিখে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরে আবারও সংযুক্ততে যোগদান করে। জানা যায়, ফারুকের এক চাচা নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা এবং নরসিংদী ৪ আসনের এমপি ও শিল্প মন্ত্রী থাকার কারণে সে অফিসের আইনকে কিছুই মনে করতেন এবং মানতেন না। দীর্ঘ ১১ বৎসর সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাজীপুর জেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে কাজ করে যাচ্ছেন। তন্মধ্যে প্রথমে হিসাব রক্ষক পদ না থাকলেও, সে হিসাবরক্ষক এর চেয়ার, টেবিল ও অফিস কক্ষ ব্যবহার করেছেন এবং গাজীপুরের ডিসি ফুড শফি আফজালুল আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে অসদাচরণ করেছেন। এ সকল অসদাচরণের কারণে আচরণবিধি সরকারী শৃংখলা আপিল বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক ৩০ নং ধারায় উল্লেখ আছে যে, যদি কেহ আচরণবিধি ভঙ্গ বা লঙ্গন করে বা শৃংখলা পরিপন্থী কাজ করে, তাহলে ধারা ৩২ এর উপধারা খ এর (ঈ) মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি চাকুরী থেকে বহিস্কার উল্লেখ আছে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরের ডিসি ফুড শফি আফজালুল আলম ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের আরসিএফ সুরাইয়া খাতুন কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই তাকে সংযোক্ততে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরেই রাখেন। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে এনে ফারুক এবং তার দোসরদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি এলাকাবাসীর।