নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় শনাক্তকরণসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার এবং আসামীর হেফাজত থেকে মৃত নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা।
গত ০৩/০৭/২০২৫ তারিখ সকালে তারাকান্দা থানাধীন দাদরা গ্রামে পরিত্যক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞাত মহিলার অর্ধ-গলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির পাশাপাশি পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে পিবিআই উক্ত মৃত নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪), পিতা-কেরামত আলী, সাং-পাতিলগাঁও, থানা-ফুলপুর জেলা-ময়মনসিংহ, তিনি গত ২৯ তারিখ ছাগল বিক্রি করতে স্থানীয় বাজারে যায়, পরবর্তীতে সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা।
পিবিআই ময়মনসিংহ এর তদন্তে প্রকাশ পায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী রোহান তার একজন বন্ধুর কাছ থেকে ভিকটিম সুফিয়ার মোবাইল নম্বরটি নিয়ে প্রেমের অভিনয় করে এবং গত ২৯/০৬/২০২৫ তারিখে ভিকটিম সুফিয়া স্থানীয় বাজারে ছাগল বিক্রি করতে গেলে আসামী রোহান তার সাথে দেখা করে বিভিন্ন কৌশলে ভিকটিম সুফিয়াকে আসামীর এলাকায় জনৈক ব্যক্তির পরিত্যক্ত নির্জন বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে আসামী রোহান ভিকটিম সুফিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। শারীরিক সম্পর্কের পরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ ও কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং তা ঝগড়ায় পর্যবসিত হয়। ঐসময় ভিকটিম সুফিয়া উত্তেজিত হয়ে আসামীকে চড় মারলে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যাকান্ড গোপন করতে মৃতদেহটি ঘটনাস্থলের পাশে সেপটিক ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দিয়ে আসামী রোহান ভিকটিম সুফিয়ার সাথে থাকা ৪,০০০/- টাকা ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
পিবিআই ময়মনসিংহ এর তদন্তকালে ০৫/০৭/২০২৫ তারিখ গভীর রাতে ফুলপুর থানা এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী রোহান মিয়া (২৫) পিতা-মোঃ আলাল মিয়া মাতা- সেলিনা খাতুন, সাং-দাদরা, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করে। একই সাথে আসামীর হেফাজত থেকে তার দেখানো ও সনাক্ত মতে মৃত নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। পরবর্তীতে গত ০৫/০৭/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী রোহান (২৫) কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।