1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন

যেখানেই পাবে মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারি, এভাবেই লাঠির আওতায় নিয়ে আসা হোক’- সচেতন মহল 

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৯৮ Time View

এম জাফরান হারুন::

‘যেখানেই পাবে বা দেখবে মাদকাসক্ত বা সেবন করছে বা মাদক কারবারি করছে বা মাদক কারবারিদের সাথে জরিত, সুনির্দিষ্ট প্রমানের ওপর নির্ভর করে প্রতি ওয়ার্ডে বা গ্রামে একটা ‘মাদকের বিরুদ্ধে একশন’ টিম গঠন পূর্বক গাব গাছের লাঠি তৈরি করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। যেহেতু মাদকের কাছে আইন-বিচার অসহায়। প্রশাসন তাদেরকে আটক করলেও বা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালেও ঠিক দুইপর আবার পুনরায় তারা বাড়িতে এসে পুনরায় মাদকের সাথে জরায়। তাই প্রশাসনের হাতে না দিয়ে ঠিক মতো উত্তম মাধ্যম দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো ভালো মনে করি- বলেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সচেতন মহল। 

তারা আরও জানান, ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে যুবসমাজ আজ মাদকের কারনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যারাই মাদক সেবনকারীর বা মাদক কারবারিদের পক্ষে সাফাই গাইবে বা তদবির করবে তাদেরও লাঠির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। তাহলেই রক্ষা পেতে পারে সমাজ। আজকে আবুল বশার যা করেছে এটাই ঠিক আছে। এবং আবুল বশারের মতো সবাই কে এমনই হওয়া উচিত। আর মানবাধিকার দেখাতে আসলে তাকেও উত্তম মাধ্যম দেওয়া উচিত। কথা একটা সমাজকে ভালো করতে হবে, তাই মাদক কে নির্মূল করতে হবে। 

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই-২৫) দুপুর ১২টার দিকে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের ভবনের নিচে এক মাদক কারবারি মো. মনির হোসেন মৃধা (২৫), বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আমীর হোসেন মৃধার ছেলে মাদকসেবীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে মারধর করছে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বশার। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তেই ভাইরাল হয়। এতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্রদল নেতা আবুল বশার মাদক কারবারি মনিরকে দশমিনা বাজারের মানিক মিয়া চত্বর থেকে ধরে বিদ্যালয় চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মনিরের কাছ থেকে ১৫ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে তা প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। 

বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা আবুল বশার বলেন, “আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। সকালে খবর পাই মনির গাঁজা বহন করছে। তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। অস্বীকার করলে তাকে মারধর করি এবং তার কাছ থেকে ১৫ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করি। পরে জনসম্মুখে তা পুড়িয়ে দিই। সে গরিব, এতিম ও অসহায় হওয়ায় পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দিই।”

এবিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে কেউ আমাকে অবগত করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved