স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদাবাজির সংবাদ প্রচারের পর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্ঘবদ্ধভাবে ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ’র বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। প্রাণভয়ে পরিবারসহ আত্মগোপনে সাইফুল্লাহ। গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে , বরগুনা জেলার কালির তবক গ্রামের পিতা মোঃ আবদুস সোবাহান এবং মাতা ফাতিমা বেগমের চতুর্থ সন্তান মোঃ সাইফুল্লাহ (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীর বাসায় হামালা চালিয়ে ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসী সুরুজ মোল্লা, আলী আকবর ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। সাইফুল্লাহ’র রাজধানীর দক্ষিন বনশ্রীর বাসায় হামলা ও ভাংচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে সাইফুল্লাহ’র খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া ত্রিমোহনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ ফোন বন্ধ করে রাখলে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অনবরত মৃত্যুর হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রাণভয়ে পরিবারসহ আত্মগোপনে আছেন ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ।
গোপন মাধ্যমে সাইফুল্লাহ জানান, চাঁদা না দেয়ার কারনে সুরজ মোল্লা ও আলী আকবর গত ১৬ আগস্ট আমার উপর হামলা করে এবং আমি মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসি। সুরজ গংদের হাত থেকে বাঁচতে পরিবারসহ পালিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনা চলে যাই এবং চিকিৎসা নেই। এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আমার বনশ্রীর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে সুরজ মোল্লা এবং আলী আকবররা।
সাইফুল্লাহ আরো জানান, হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনী পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছিনা আমি।
উল্লেখ্য, চাঁদা না দেয়ার কারণে মোঃ সাইফুল্লাহ নামের ঐ ব্যবসায়ীর উপর গত (১৬ আগাস্ট) শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় হামলা করা হয়। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন সাইফুল্লাহ নামের ঐ ব্যবসায়ী। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী সাইফুল্লাহর বাম হাত ভেঙে যায়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও মোঃ সাইফুল্লাহর বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। এবং ধারাবাহিকভাবে হত্যার হুমকি দিকে আসছে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মোঃ সাইফুল্লাহ দীর্ঘ আট বছর যাবত রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী পরিবারসহ বসবাস করে আসছিলেন। সাইফুল্লাহ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল (ইট, বালু, পাথর, ব্লক ইত্যাদি) সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন।
সাইফুল্লাহ জানান, খিলগাঁওয়ের সুরজ মোল্লা, পিতা-মাহাতাব মোল্লা, আলী আকবর, পিতা- মৃত সৈয়দ আলী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা দীর্ঘদিন যাবত তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরে প্রাণের ভয়ে সাইফুল্লাহ পরিবারসহ বরগুনা তার নিজ গ্রামে চলে যান এবং বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
তিনি জানান, সুরজ মোল্লা এবং আলী আকবার তার উপর শুধু হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। চাঁদা না দিলে সাইফুল্লাহ্ এবং তাঁর পরিবারের প্রাণনাশ করা হবে বলে ফোন কলে হুমকি দেন।
সাইফুল্লাহর অভিযোগ, ২০২৪ সালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন আলী আকবর। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী দু’টি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে সাইফুল্লাহকে হয়রানি করা হয়।