গাজীপুর প্রতিনিধি:
ঢাকা বন বিভাগের রাজেন্দ্রপুর পূর্ব বিটের সংলগ্ন সেগুন বাগানে এস.এ. ৪২২ নম্বর দাগে অবস্থিত প্রায় ১৫ কাঠা সরকারি বনভূমি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। জায়গাটি বন বিভাগের আওতাভুক্ত হলেও এতে নেই কোনো পরিকল্পিত চাষাবাদ, বৃক্ষরোপণ বা সংরক্ষণমূলক কার্যক্রম। ফলে পরিবেশপ্রেমী ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে।
স্থানীয়দের মতে, জায়গাটি সুফল বাগান গড়ার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পরিকল্পিতভাবে ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করা হলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পেত, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও হতো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
একজন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী বলেন, “এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা অবহেলিত পড়ে রয়েছে — এটা হতাশাজনক। বাতির নিচেই যদি অন্ধকার থাকে, তাহলে আলো কোথায়?”
বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ না থাকায় সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরবতা ও উদাসীনতার কারণেই এ সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতেও, রাজেন্দ্রপুরের মতো এলাকায় প্রতিটি ইঞ্চি বনভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তাদের মতে, পতিত জমিতে সুফল বাগান, প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকা অথবা সামাজিক বনায়নের মতো প্রকল্প নেওয়া হলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবহেলিত এই সরকারি জমি রক্ষায় এবং এর যথাযথ ব্যবহারে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।