বিশেষ প্রতিনিধি মো: লুৎফর রহমান হৃদয়
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের একটি অভিযোগ তদন্তকালীন সময় সাংবাদিক মহি উদ্দিন কর্তৃক হামলার স্বীকার হালিম মাস্টার, ক্ষীপ্ত এলাকাবাসীকে ফেরাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কেন্দুয়ার ইউএনও।
১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই বাজারের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপস্থিত জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তদন্তকালীন সময় শতশত জনতার সামনে সাংবাদিক মহি উদ্দিন ও হালিম মাষ্টারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঐসময় সাংবাদিক মহি উদ্দিন হালিম মাষ্টারের বুকে কিল ঘুষি মারিলে হালিম মাষ্টার আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বিক্ষোভদ্ব জনতা সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গনপিটুনী দেয়। সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে প্রানে বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তাৎক্ষণিক এগিয়ে ফেরাইতে আসে এবং আহত হন।
পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীর হাত থেকে রক্ষা করে সাংবাদিক মহি উদ্দিনকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিয়নের প্রশাসক, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য, ইউপি সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী।
ইমদাদুল হক তালুকদার বক্তব্যে বলেন- “আজ গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের একটি বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যার কর্তৃক তদন্ত চলাকালে এলাকাবাসীর সাথে অভিযোগকারী মহীউদ্দীন নামক এক ব্যাক্তির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চিৎকার শুনে আমি এডিএম স্যার সহ সেখানে দৌড়ে গিয়ে উত্তেজনা প্রশমণ করার চেস্টা করে ডান হাতের কনিষ্টা আঙুলে আঘাত পাই ও মচকে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে”।
হালিম মাষ্টার বলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আমার ইউনিয়ন আসছে জেনে আমি সেখানে গিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে পেয়ে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি ভূয়া নিউজ করেছেন শুনলাম বলতেই আমাকে বুকে কিল ঘুষি মারে এবং আহত হইয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এই দেখে বিক্ষোভদ্ব জনতা সাংবাদিক মহি উদ্দিনকে গন পিটুন দিতে চেষ্টা করলে,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তাকে প্রানেরক্ষা করে আহত হন।
সদর উপজেলার এমবিবিএস ডাক্তার মাজহারুল আমিন বলেন- কেন্দুয়ার ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার আহত হয়ে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন। উনার হাতের একটি আংগুল মচকে গেছে।
সাংবাদিক মহিউদ্দিন আহত বিষয় জানতে চাইলে বলেন- তিনি গুরুত্বর কোন ধরনের আঘাত পান নাই, একটু কপালে ফুলা ছিল আমরা সাময়িক চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি মাথা চিটিসস্ক্যান করতে এখন ময়মনসিংহ চলে গেছে।