
এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফলে ডেভিল হান্ট অপারেশন চালিয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মো. আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মাইনুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। তিনি তাকে ইউনিয়ন যুব জামায়াতের নেতা পরিচয় দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর-২৫) সকাল ১১ টার দিকে তাকে মমিনপুর গ্রাম থেকে থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করেন। এদিকে থানায় নিয়ে আসার পরপরই ওই মাইনুল ইসলামকে ছাড়াতে থানায় আসেন একদল জামায়াতের নেতাকর্মী।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রেফতারকৃত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলামকে ছাড়াতে তোরজোড় শুরু করেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। জানতে চাইলে সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, শুধু মাইনুল নয়, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতারাও অপু’র (সদ্য সাবেক আওয়ামী চেয়ারম্যান) নির্বাচন করেছে৷ সে ছাত্রলীগের কোন পদে ছিলো না। আমার ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে মাইনুল। তার জন্য স্বাভাবিক ভাবে আমাকে আসতে হয়েছে।
এরআগে, মাইনুলের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্টতার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির শ্যালক ও ইউনিয়ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক অপু’র পক্ষে আওয়ামী লীগের সাথে বিভিন্ন ভাংচুর করাসহ মারামারি-হানাহানির ঘটনায়ও জড়িত ছিলো। মমিনপুর চরে অপু’র দোহাই দিয়ে বিভিন্ন ভাবে জমি জবরদখল সহ বিভিন্ন ভাবে জমি দাতাদের হয়রানি করতো।
এলাকাবাসী জানান, এই মাইনুল সহ আরও অনেকে কেশবপুর ইউনিয়নে ও বিশেষ করে মমিনপুরে ও মমিনপুরের চরে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম অপরাধে লিপ্ত ছিলো। তাদের তান্ডব, নির্যাতন, অত্যাচারের শিকার ছিলো এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ে কেউ মুখ খুলতোনা। তার বিরুদ্ধে নাকি একাধিক মামলাও রয়েছে বলে তারা জানান।
এবিষয়ে বাউফল থানারওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাইনুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাকে গ্রেফতারের পরেরদিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।