
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অদ্য সকাল ২৩ শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং রোজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এজলাশ নং-০৩ এর বিজ্ঞ বিচারক জনাব আব্দুল্লা আল মামুন সাহেব যাত্রাবাড়ীর থানায় চলমান কু’খ্যাত মাদক সম্রাট নুরু মিয়া হত্যা মামলা নং-১৭/১৭৩, তাং-৭/০১/২০২৩ইং বিচারীক রায় অদ্য ঘোষীত করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত মোট ১১জন আসামিকে দোষী সাবস্থ্য করে বিভিন্ন মেয়াদী সাজায় রায় ঘোষীত করেন। উল্লেখ্য যে-১১জন আসামির মধ্যে ৫জন আসামি অপরাধ সংঘঠিত করিয়া ঘটনার দিন থেকে পলাতক এবং ৬জন গ্রেফতারকৃত ও হাজতবাসীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ ৮ মাস মামলার বিচারীক কার্যক্রম চলমান ছিল এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষের মোট ৫জন আইন কৌশুলীর আইনি শুনানী ও যুক্তিতর্ক জেরার মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারকার্য সমাপন করেন। এই বিচারে বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের বিজ্ঞ আইন কৌশুলীর যুক্তি যোগ্য বক্তব্য ও স্বাক্ষি প্রমান/আলামত যাচাই ও পর্যালোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত ন্যায় পড়ায়ন সিদ্ধান্ত ও রায় ঘোষীত করেন। একটি বিষয় বিশেষ দৃষ্টিপাত যে-বিচার কার্যক্রম চলাকালিন এজলাশের ডান-পাশে অসাংবিধানীক প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনীর ৩জন মেজর পদবী কর্মকর্তার জুডিশিয়ারী ম্যাজিট্রেসির হস্তক্ষেপ ও কঠোর পর্যবেক্ষন করেন। তবে- রায়ে ঘোষনা চলাকালিন সামরিক বাহিনীর কোন স্বক্রিয়তা লক্ষ করা যায় নাই এবং বিজ্ঞ বিচারক নির্দিধায় রায় ঘোষনার মাধ্যমে উপস্থিত ৬জন হাজতী আসামি গং ২। গাজী মোস্তফা,পিং-হায়দার মিয়া, ৩। নাসির উদ্দিন, পিং-সুরুজ আলী, ৫। জাহাঙ্গির সাদী, পিং-আতাউর রহমান, ৮। ফেরদাউস মুসা, পিং-মৃত জবিরুল মুসা, ৯। মোঃতাজুল, পিং-মোঃ জাকির, ১১। দবির উদ্দিন, পিং-সাজ্জাদ উল্লাহকে দন্ডবিধি আইনে ১০বৎসর সশ্রম কারদন্ড ও ৩০হাজার টাকা জরিমানা বা ৬মাস অতিরিক্ত সাজা ঘোষীত করেন। অভিযুক্ত পলাতক ৪জন আসামি গং-৪। মোঃফিরোজ, পিং-আব্দুর রাজ্জাক, ৬। তপন ডোম, পিং-রনজীত ডোম, ৭। ফয়সাল কবির, পিং-দেলোয়ার মুন্সি, ১০।কালু ফকির, পিং-রমজান ফকির গং কে ফৌ: দন্ডবিধি আইনে ১২ বৎসর সশ্রম কারদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ১বৎসর অতিরিক্ত সাজা ঘোষীত করেন এবং মুখ্য হুকমের আসামি ১। মোঃ আব্দুর রব পিং-মৃত আব্দুর রশিদকে বিজ্ঞ বিচারক সন্দেহাতীত অপরাধী হিসাবে ১৪বৎসর সশ্রম কারাদন্ড ও ১লক্ষ টাকা ক্ষতীপুরন/জরিমান বা ১বৎসর অতিরিক্ত সাজা ঘোষীত করেন।
ফলে বিজ্ঞ বিচারক নিম্ন আদালতের মাধ্যমে পলাতক ফেরারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ করেন। এই রায়ের বিষয় উপস্থিত আসামি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবিদের জিজ্ঞাসা করলে ওনারা তেমন মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না তবে অসন্তুষ্ট জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু উপস্থিত বাদী পক্ষে বিজ্ঞ প্রসিকিউটর ও ভিকটিম পরিবারকে রায়ের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে উনারা সবাই বিচারীক রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।