শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
“মুসলিমরা নামাজ-রোজা, মসজিদ নিয়ে থাকবে আর ইবলিশরা রাজনীতি করবে—তা কখনো হবে না।” খুলনার পাইকগাছায় এক ছাত্র-যুব সমাবেশে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।
শনিবার (১১ অক্টোবর) পাইকগাছা সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“মানুষের প্রণীত আইন কখনো স্থায়ী শান্তি দিতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার আইনই সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে দেশ পরিচালিত হলে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে, যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়ে আল্লাহর আইন ও নবী-রাসুলের আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায়। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সংগ্রাম করেছি, এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব। শিক্ষা ব্যবস্থা ও সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে।”খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করুন, আমরা জনগণের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করব।”অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বলেন, “কয়রা-পাইকগাছায় টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ, প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, সড়ক সংস্কার ও খুলনা থেকে কয়রা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায় গেলে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা ও কয়রা-পাইকগাছাকে কেন্দ্র করে ‘সুন্দরবন জেলা’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার,জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান,জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও আবুজার আল গিফারী।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আব্দুল খালেক এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আলতাফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শাহ আলম, মুন্সী মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মাওলানা শফিকুল ইসলামসহ জামায়াতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।