নিজস্ব প্রতিবেদক:
হালুয়াঘাটে ২০ বছরের অনার্স পড়ুয়া এক মেয়ে আত্মহ’ত্যা করেছে গত ১৯ তারিখে। সে সু’ই*সা*’ইড নোট লিখেছিল দুই পাতার, তাতে লেখা ছিল-
‘আমার মৃ’ত্যু*র জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য। আমার মৃ’ত্যু*র কোনো কারণ নেই। এই দুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছে তাই আমি চলে গেছি’।
মেয়েটির মৃ’*ত্যুতে হালুয়াঘাট থানায় অপমৃ**’ত্যুর মামলা হয়। লাশটা পুলিশ থানা হেফাজতে নেয়।
আবু সাঈদ নামে এক লোক প্রায় তিন বছর ধরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে লাশ আনা–নেওয়ার কাজ করত।
সে প্রথমে আসার পর মর্গের চাবি নিয়ে মর্গে মরদেহ রেখে আবার চাবি দিয়ে চলে যায়। পরে আধাঘণ্টা পর আবারও আবু সাইদ সুরতহাল রিপোর্ট নেওয়ার কথা বলে মর্গে ঢুকে মৃতদেহ ধ’র্ষ’ণ করে পরে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরে মর্গের কর্তব্যরত ডোম এসে মর্গ অন্ধকার দেখতে পেয়ে লাইট জালায়। এসময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন।
মরদেহ দেখে কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করে ধ’র্ষ’ণের আলামত পায়।
এখানে দুটো ঘটনা ঘটেছে, প্রথমত একটা লাশ, সে লাশ হেফাজতে থাকা অবস্থাতে ধ’র্ষি’ত হয়েছে। এটা একটা সিগনিফিকেন্ট ঘটনা।
এটা রাষ্ট্রের সিস্টেমিক অবস্থা।
লাশের নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতাও আমাদের নাই।
সেই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলা ও মৃতদেহ অবমাননার মামলা দেওয়া হয়েছে।