
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুফতি ফজলুল করিম ও মিযানুর রহমান জামীলের সঞ্চালনায় গত (৩১ অক্টোবর) শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর, ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় “অর্থসহ ৫০০ কপি কুরআন বিতরণ” অনুষ্ঠান।
কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউট পরিচালিত অপরিহার্য কোরআনী শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—
মাদরাসা দারুর রাশাদের মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মাদ সালমান,তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী,জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান,পয়ামে ইনসানিয়াত বাংলাদেশের আমীর ড. মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী,বাইতুস সালাম জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের পরিচালক মুফতি সাইফুজ্জামান,দারুল উলুম ইব্রাহিমিয়া মাদরাসার পরিচালক মুফতি ইমরান বিন ইলিয়াস,কালশী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রশিদ নোমানী,বাইতুন নূর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদউল্লাহ,বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ওজায়ের,মাওলানা এ জে এম মহিউদ্দিন,মাওলানা ফয়সাল আহমেদ জাকারিয়া।
সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিলেন রহমত ই খোদা, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, আলাউদ্দিন, মাসুদুল ইসলাম এবং রায়হান ফাউন্ডেশনের পরিচালক এ. এম. এম. নওশাদ এহসান।
ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কোরআনের সহজ, হৃদয়গ্রাহী ও সৃজনশীল শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে আলোকিত প্রজন্ম গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে কুরআন ও নামাজ শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা ও মসজিদভিত্তিক কোরআন শিক্ষা কোর্স চালু করেছে। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে হাজারো শিক্ষার্থী অর্থসহ কুরআন শিক্ষা ও বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াতের সুযোগ পাচ্ছে। দেশব্যাপী সার্বজনীন মুসলমানদের মাঝে তাদের এই আহ্বান ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, “কুরআনের শিক্ষা ও এর অর্থ বোঝা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। সমাজে নৈতিকতা, ন্যায়বিচার, মানবিকতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ কুরআনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা।”
তাঁরা তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের এ মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এ ধরনের কার্যক্রম দেশব্যাপী কুরআন শেখার নবজাগরণ সৃষ্টি করবে। তরুণ প্রজন্ম কুরআনের আলোয় আলোকিত হবে। অবক্ষয় সমাজকে ইনসাফভিত্তিক সমাজে পরিণত করতে এ ধরণের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ শিবলী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,“আমাদের লক্ষ্য—প্রত্যেক মুসলমান যেন বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি অর্থসহ কুরআন পড়ে, বোঝে এবং জীবনে তা বাস্তবায়নের প্রয়াস চালায়। তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউট সেই মহৎ উদ্দেশ্যেই কাজ করছে। কুরআনের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকার।”
শেষে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে অর্থসহ ৫০০ কপি পবিত্র কুরআন তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। সবাই এমন উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।