
মোঃ-রিয়াজ উদ্দিন হেলাল,আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:-
বরগুনার আমতলী উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এ্যাড.রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, জালাল উদ্দিন ফকিরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এখন থেকে তিনি দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একজন ত্যাগী নেতাকে বহিস্কার করে দলীয় কার্যক্রম থেকে নিবৃত রাখলে দলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়।
আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের প্রাণ জালাল উদ্দিন ফকির। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার দলীয় নেতাদের রোশানলে পরে দুই ডজন মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। অনেক দিন জেল খেটেছেন। বছরের পর বছর পালিয়ে থেকেছেন তারপরও তিনি দল থেকে বিচ্যুতি হয়নি।
বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির একজন বিএনপির পরিক্ষিত নেতা। শেখ হাসিনার আমলে জেল জুলুম ও অত্যাচার-অনাচারে তিনি ছিলেন জর্জরিত। তার মত একজন ত্যাগী নেতা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অতিব প্রয়োজন। নির্বাচনকালীন সময়ে জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরুর পর আমতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকির আমতলীর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। বিষয়টির একটি অডিও ফাঁস হয় ও তিনি সকল নেতাকর্মীদের সাথে গোপনে সভা করে। ওই অডিওর কপোথকপথনের বিষয়টি গোপনে কোন এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে বিভিন্ন মিডিয়াসহ সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
বিষয়টি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আসলে বুধবার (৩ জানুয়ারি ২০২৪) সকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় আহবায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিবএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।