
অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বেশকিছু অনুষ্ঠানে আমি সরাসরি উপস্থিত থেকে পরোক্ষভাবে দেখেছি। তাদের সভ্যতা। অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। কথায় এবং কাজের মিল থাকার প্রমাণ। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সরাসরি আমীরে জামায়াতের সাথেও সাক্ষাৎ হয়েছে।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে, সমগ্র দেশজুড়ে প্রায় তিনশ আসনে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে, এমপি প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে প্রায় সবাই সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, সুপরিচিত এবং উচ্চ শিক্ষিত অনেকেই। এরকম প্রার্থীগণ জাতীয় সংসদের এমপি হয়ে আসতে পারলে, সমাজের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।
এদিকে বেশকিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে,এই জামায়াতে ইসলামী নিয়ে অনেক উল্টা পাল্টা মন্তব্য প্রায় সময় শোনা যায়। তা নিয়েও রয়েছে আমার অসংখ্য লেখা। যেসকল রাজনৈতিক দল গুলো জামায়াতে ইসলামী নিয়ে সবচেয়ে বেশি মন্তব্য করে। তারাই কিন্তু আবার বিভিন্ন সময় এই জামায়াতের সাথেই জোট করে, কখনও ক্ষমতায় এসেছে, কখনও আন্দোলন করতে দেখা গেছে।
প্রিয় পাঠক, আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কে নিয়ে তখনই খুব জোরে জোরে বদনাম শুরু হয়। যখনই জামায়াতে ইসলামী, রাজনীতি অঙ্গনে একা একা প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। মনে করুন জামায়াত যদি সত্যি সত্যি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে। আর সত্যি সত্যি যদি দেশপ্রেম নিয়ে, সততা নিয়ে, রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। চুরি চাদাবাজী, দুর্নীতি, যদি সত্যি সত্যি কমতে থাকে। তাহলে দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক দল বন্ধ হয়ে যাবে। এরকম ভয় কিন্তু অনেক দলের রয়েছে। এদিকে জামায়াতের সবচেয়ে বড় গুণটা হলো। দলটি পরিবার তন্ত্র পছন্দ করে না।
নতুবা জামায়াতের বিরুদ্ধে এমন কটাক্ষ মন্তব্য করার আমি আর কোনো কারণ খোঁজে পাইনি। যারা বলে জামায়াত দলটি স্বাধীনতা বিরোধী। অথচ আমি তাদের মধ্যে অনেককেই দেখেছি, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে। স্বাধীনতা বিরোধী মানে দেশের প্রতি যাদের দেশপ্রেম নেই। তদ্রুপ দেশের বাহিরে টাকা যারা পাচার করে, তাদের দেশপ্রেম নেই আরো বেশি।
প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করে দেখবেন, টাকা পাচারকারী দলের নেতারা গলা ফাটিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে কটাক্ষ করে চলেছে । প্রিয় পাঠক গণের উদ্দেশ্যে বলছি। বাংলাদেশে কারা দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল? বারবার ক্ষমতায় এসে দেশের জনগণকে জিম্মি করে, দেশের এমপি মন্ত্রীরা টাকার পাহাড় বানিয়ে, বিদেশে পাড়ি জমায়। তারা কি দেশপ্রেমিক হতে পারে? না হতে পারে না।
দেশের প্রকৃতপক্ষে দেশপ্রেমিক ভোটারেরা অনেকেই বলছেন, আমরা জামায়াতের পক্ষে ভোট প্রদান করে জামায়াতকে ক্ষমতায় এনে প্রমাণ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়ে, যুগে যুগে কেন এরকম কটাক্ষ করা হয়েছে? এছাড়া জামায়াতে ইসলামীতে বতর্মানে চল্লিশ বছর,পঞ্চাশ বছর,ষাট বছরের নেতা কর্মী রয়েছেন সিংহভাগ। তারা নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী নয়। কারণ তাদের তখন বিরোধীতা করার বয়স পর্যন্ত হয়নি।
স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরে এসেও যারা জামায়াতের নেতাকর্মীদের কে রাজাকার বলে কটাক্ষ করছে। এখানে তাদের স্বার্থ অন্য জায়গায়। এটাও নিশ্চিত করে বলা যায়। আমরা এই দেশের নাগরিক হয়ে পরোক্ষভাবে সব দেখেছি। স্বাধীনতার পক্ষে
দলগুলোও এই জাতির সাথে প্রতারণা করতে দেখেছি। তারা দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার শ্লোগান হোক, যা করবে আল্লাহ্, ভোটের মার্কা দাড়িপাল্লা, এবার হবে বিজয়, মাশাআল্লাহ।
অথই নূরুল আমিন
প্রধান সমন্বয়ক
জাতীয় মানবসম্পদ উইং