
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আলু চাষীদের মাথায় হাত চলতি মৌসুমে প্রত্যেক আলু চাষিরা লোকসানের হিসাব গুনছে।
এই আলু একটি লাভজনক ফসল,তাই প্রতি বছরে আলু চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে অনেক লাভের ফলে কৃষকের মুখে হাসি ছিলো। এই অঞ্চলে টিনের ব্যারা ঘরের ছাটিয়ালা এখন আর নেই, কারন আলু চাষ করে লাভের টাকা দিয়ে ইটের বাড়ী তৈরি হয়েছে প্রায় ৬০% কিন্তু এবছর লাভের বদলে লস এর পরিমাণ ১০০%। নিতাই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ ওয়াদুত সাহ্ (দলিল লেখক সরকার) তিনি বলেন এবারে আমার প্রায় চার লক্ষ টাকার অধিক লস হয়েছে। উত্তর দূরাকুটির মোঃ আজিজুল ইসলাম (ঢ্যামসা)এক জন দক্ষ কৃষক আলু চাষে সেরা তিনি এবছর আলুর বাজার না থাকার কারণে এখনও আলু উত্তোলন করেননি ওনার আলু কিশোরগঞ্জের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। উত্তর দুড়াকুটি সাবেক ইউ পি সংরক্ষিত সদস্য মোঃরুবেল মিয়া বলেন প্রতিবছর ৮থেকে ১০ লক্ষ টাকা আলুতে লাভ হত বাজার তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ার কারনে এখনো আলু উত্তোলন করিনি ধারণা করা হচ্ছে এ বছর লোকসান হবে, তাই আগামী ইরি মৌসুম কি ভাবে চাষ করব তাই চিন্তায় আছি। আলু আরোদ্দার মোঃ মনজুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুজন মিয়া বলেন ১৫ টাকা আলু ক্রয় করে ঢাকায় নিয়া যেয়ে সেই আলো বিক্রি করেছি বারো টাকা, আমাদের কয়েক লক্ষ্যাদিক টাকা লস হয়েছে। এক জন কৃষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন যদি হামার সরকার থাকিল হায় তাহলে ঠিকই আলুর দাম পাইনো হয়। অর্থাৎ নির্বাচিত সরকার না থাকার কারনে কৃষকের লসের হিসাব গুনতে হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়েছে।