1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
Title :
টাঙ্গাইলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন। আসামী কে আটক করেছে থানা পুলিশ চুড়ান্ত নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে তিন বাহিনীর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বরগুনায় এনসিপির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ১,৮০০ পিস ইয়াবা সহ ০১ জনকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌতুক না পেয়ে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে মারধর; রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে  তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে অর্থসহ ৫০০ কপি কুরআন বিতরণ আসন্ন নির্বাচনে নেত্রকোণা-৩ দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী -অধ্যাপক খায়রুল কবীর মিরপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে ১০৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় বত্রিশ লক্ষ টাকাসহ মূল হোতা মোঃ বিল্লাল হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব কাতার- আসবে ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক

পাষণ্ড বাবা মায়ের লোভের কারণে নির্মম বলি হল মেয়ে!

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ২৭৯ Time View

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা

“যেই ঘটনা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়”

রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডেকে তুলে।

ঘুম থেকে তুলে বলে একটু বাইরে বের হব চল।

মেয়েটা ঘুমঘুম চোখে অবাক হয়। এতরাতে কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতে থাকে। বাবা-মা কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে।

যেহেতু বাবা-মা বলছে তাই মেয়েটা আর না করে না। চোখে ঘুম আর কৌতূহল নিয়েই বের হয় তাদের সাথে।

কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা লক্ষ্য করে তার চাচি শাহিনা বেগমও তাদের সাথে যাচ্ছেন। মেয়েটা মনে করেছিল হয়তো সবাই একসাথে কোন দরকারি কাজে যাচ্ছে।

কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা খেয়াল করে তার বাবা-মা বসতবাড়ির রাস্তা ছেড়ে কৃষি জমির দিকে যাচ্ছে।

মেয়েটা অবাক হয়েই জানতে চেয়েছিল তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু বাবা-মা আর চাচি তাকে চুপ করে থাকতে বলে। মেয়েটার চোখেমুখে তখনও ঘুমঘুম ভাব ছিল।

কিছুক্ষণ পরই তারা একটা ভুট্টা ক্ষেতের কাছাকাছি আসে। এখানে এসেও কৌতূহলী হয়ে বাবা-মা আর চাচিকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তারা এত রাতে এখানে কেন এসেছে।

কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে জান্নাতীর হাত এবং মুখ জাপটে ধরে, যাতে চিৎকার করতে না পারে। তারপর মাথায় এবং শরীরে রড দিয়ে জোরে অঘাত করে।

মেয়েটা ছুটে দৌড় দিতে চেয়েছিল কিন্তু আকস্মিক আঘাতের কারণে আর পারে না।

তারপর বাবা-মা এবং চাচি শাহিনা বেগম মিলে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা তখন অনেকটাই নিস্তেজ, তীব্র যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল শুধু।

তিনজন মিলে অনবরত কোপাতে থাকে মেয়েটাকে, চারদিকে র*ক্ত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সেখানেই মারা যায় মেয়েটা।

পূর্ব পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে বাবা-মা এবং চাচি মিলে মেয়েটাকে মেরে ওই ভুট্টা খেতেই রেখে চলে আসে। এ ঘটনা শনিবারের।

পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা যখন জমিতে কাজ করতে যায় তখন সেখানে জান্নাতীর লা*শ দেখতে পায়।

লা*শ দেখতে পেয়ে খবর দেয় বাবা-মাকে। তারা এসে কতক্ষণ কান্নাকাটির নাটক করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

তারপর মেয়ের চাচা এবং বাবা-মা মিলে প্রতিবেশী ২৭ জনের নামে মামলা করে। তারপর পুলিশ তাৎক্ষণিক সেই প্রতিবেশীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

কিন্তু পুলিশ কিছুতেই সুরাহা করতে পারছিল না। সবাই অস্বীকার করছিল। পুলিশ আরও জোর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কাজ হয় না।

এর দুইদিন পর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে কিছু ক্লু পায়। সেই ক্লু ধরে পুলিশ মেয়েটার বাবা-মা এবং চাচা চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে আসে।

তারা থানায় এসেই ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে থাকে এবং তাদেরকে ফাঁসি দিতে বলে।

বাবা-মা বারবার বলতে থাকে আমার মেয়েটাকে ওই প্রতিবেশীরাই মিলে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যেতে শুরু করে।

একপর্যায়ে যখন জোরলো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ক্লু গুলো সামনে নিয়ে আসে তখন চাচি শাহিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলে যে তারাই মেয়েটাকে শনিবার রাতে মেরেছে।

বাবা-মা তখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু চাচি শাহিনা বেগমের স্বীকারোক্তির পর বাবা-মা ও বুঝে যায় বাঁচার আর কোন পথ নেই।

তারপর মেয়েটার বাবা জাহিদুল ইসলাম এবং মা মোর্শেদা বেগমও স্বীকার করে যে তারা তিনজন মিলেই মেয়েটাকে নির্মমভাবে মেরেছে।

তারপর মারার কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানায়- প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে মেরেছে।

প্রতিবেশীদের সাথে তাদের একটা ৩২ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল বহুদিন ধরেই। তাই চাচি শাহিনা বেগম তাদেরকে প্ল্যান দিয়েছিল নিজ মেয়েকে মেরে ওই জমিতে রেখে আসতে।

তারপর তারা মামলা করবে প্রতিবেশীদের নামে।

এতে করে মামলায় প্রতিবেশীদের জেল হলে তারা সহজেই ৩২ বিঘা জমিটা দখল দিয়ে নিজেদের করে নিতে পারবে।

এজন্যেই তারা ২৭ জন প্রতিবেশীর নামে মামলা করেছিল যাতে ওই পরিবারের সবার জেল হয়।

এ স্বীকারোক্তি গুলো কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সংগ্রহ করেছেন এবং ভেরিফাই করে সত্যায়িত করেছেন।

তাছাড়া মেয়েটাকে কিভাবে কিভাবে মারা হয়েছিল সে ঘটনার স্বীকারোক্তিও বাবা-মায়ের কাছ থেকেই পুলিশ নিয়েছে।

জান্নাতী মেয়েটার বয়স খুব বেশি না, ১৫ বছর বয়স মাত্র। পড়াশোনা করত ক্লাস নাইনে।

গ্রামের সবাই এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছে এবং মেয়েটার জন্যে শোকাহত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল- মেয়েটার আচার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল।

মেয়েটার স্কুলের শিক্ষক এবং সহপাঠীরাও জানিয়েছে- মেয়েটা পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। বেঁচে থাকলে সামনের বছরই এইচএসসি পরীক্ষা দিতো। হয়তো ভালো একটা রেজাল্টও করতো।

আমাদের চারপাশে কতশত দম্পতির সন্তান হয়না বিধায় এ হসপিটাল থেকে ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে দিন পার করে। একটা সন্তানের জন্যে কত হাহাকার করে।

অথচ সামান্য কিছু জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই খুন হতে হলো হাসিখুশি মেয়ে জান্নাতির।
এভাবে যদি দিন দিন খুন হতে হয় আপনজনের হাতে আর কত এভাবে আমরা এ দেশের তাজা প্রাণ চলে যেতে দেখব আমরা কি পারিনা সবাই মিলে মানবতার হাত বাড়াতে তা না হলে একদিন দেখা যাবে মানুষ মানুষকে আর বিশ্বাস করবে না কারণ আপন জনের হাতে যদি খুন হতে হয় অন্যকে তো বিশ্বাস করার মত প্রশ্নই আসে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি পাঁচই জুলাই এর পর দেশে খুন ছিনতাই দ
ধর্শন ডাকাতি এমনকি চুরিও বেড়েছে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আর বেশি দিন লাগবে না এদেশের ধ্বংস হতে আমার মনে হয় ৫ ই জুলাইয়ের পর থেকে যেহারে ধর্ষণ খুন বাড়ছে।
১৯৭১ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্তই এত ধর্ষণ এতক্ষণ হয়নি যা ২০২৪ সাল ৫ই জুলাইয়ের পর থেকে হচ্ছে তাতে মনে হয় বাংলাদেশে রক্তের হোলি খেলা চলছে আর কত বাঙালি মা বোনের ইজ্জত হারাতে হবে আর কত বাঙালি মানুষের তরতাজা প্রাণ দিতে হবে আমরা কি পারি না এই রক্তের খেলা এই ধর্ষণের খেলা বন্ধু করতে আর আমরা পারি কিন্তু পারছি না কেন তা কি আপনারা জানেন জানেন না কারণ আমাদের বাংলাদেশ সবচাইতে শক্তিশালী একটি বাহিনী আছে। সেই বাহিনীর নাম পুলিশবাহিনী যা

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved