নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ( ইইউবি) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার মিরপুরে এবং শ্যামলীতে একাধিক ভবনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বর্তমানে গাবতলীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বির্শিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মকবুল আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে সন্তানের মত আগলে রেখে পরিচালনা করে আসছিলেন।এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য রুপায়ন ডেভেলপার কোম্পানি থেকে ইউনিভার্সিটির নামে ২ টা ফ্লোর ক্রয় করেন ২০১০ সালে। ৫ আগষ্টের পর শুরু হয় তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তার নিজের সন্তান আহমেদ ফরহাদ বর্তমানের কথিত চেয়ারম্যান বাবা মকবুল আহমেদকে ভার্সিটি থেকে বের করে দেন।
অথচ কোন রাজনীতির সাথে তার সংশ্লিষ্টতা কখনো দেখা যায় নি।তিনি একজন শিক্ষাবিদ, এটাই তার বড় পরিচয় বহন করে।
নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য যে সন্তান তার বাবাকে নানা অপবাদ অপমান করে বের করে দেয় আর যাই হোক তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। জোর করে চেয়ারে বসেই তিনি ভার্সিটির নামে ক্রয়কৃত ৩০ কোটি টাকার সম্পদ নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। ভার্সিটির সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ব্যক্তিগতভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করার কোন এখতিয়ার নেই।
অথচ তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভার্সিটি সম্পদ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটি প্রায় ৫ কোটি টাকার মূল্যের রুফটপ খুলে নিয়ে গাজীপুরে তার নিজস্ব কোম্পানিতে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে চেয়ারে বসার কারণে ভার্সিটির অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছে অপসারণের দাবিতে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।শুধু তাই নয় অবৈধভাবে ভিসি নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আহমেদ ফরহাদের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত আসিতেছে ২য় পর্বে।