
এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফলে কুপিয়ে আহত এক ভুক্তভোগীকে মামলা না করার জন্য হাসপাতালে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাউফল সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে যুবদলের সভাপতি দাবি করেন- তাদেরকে মীমাংসার জন্য কথা বলতে হাসপাতালে গিয়েছি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হুমকির ঘটনায় আতঙ্ক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আহত ভুক্তভোগী নিজাম মোল্লা।
এর আগে সন্ধ্যায় চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামে রফিজ দর্জি, মিন্টু, মানিক, মাইনুল গংদের মধ্যে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় কৃষক নিজাম মোল্লা মারামারি থামাতে গেলে মিন্টু, মানিক, মাইনুল গংরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার মাথা ও কানে গভীর জখম হয়। পরে তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানে গিয়ে মামলা না করার হুমকি দেন যুবদল নেতা নুর ইসলাম এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে যুবদল নেতা নুর ইসলাম বলেন, “আমি সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। মারামারিতে জড়িত দুই পক্ষই বিএনপির রাজনীতি করে। তাই মামলায় না গিয়ে মীমাংসার জন্য বলেছি।” তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তার সঙ্গে পুলিশের একজন এসআইও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “মারামারির ঘটনা সম্পর্কে জানি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। হুমকির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।