
মোঃ আল মুমিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টর
১৮ ই নভেম্বর ২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১ম থেকে ১২ তম নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন ধারীরা এনটিআরসিএ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ দিন সকাল ১০ টায় তাদের কর্মসূচি শুরু করে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এর আগে গত ৯ ই নভেম্বর ২০২৫ইং সকালে তারা ঢাকা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মার্চ টু যমুনা পালন করেন। ১০ নভেম্বর ২০২৫ইং শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া ও রমনা জোনের পুলিশের উপ পরিদর্শক মাসুদ আলমের মাধ্যমে এনটিআরসিএ অফিসে মিটিং করেন। মিটিং এ ঐ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমাদের নিয়োগ দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি বলেন তাহলে আমরা নিয়োগ দিতে বাধ্য। সে অনুযায়ী ১১ ই নভেম্বর দুপুর ৩.০০ টায় তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক নেতাদের দাবি ইতিপূর্বেও আমাদের নিয়োগের অনুমতি চেয়ে এই রকম অনেক চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেই চিঠি গুলোর কোন উত্তর পাননি তাঁরা। দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ১২ ই নভেম্বর কঠোর হুশিয়ারির মধ্যমে ১৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন।
গতকাল ১৮ই নভেম্বর আবারও তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে বারবার এনটিআরসিএ অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কাওকে অফিসে পান না। সারাদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে হাজার হাজার নিবন্ধন ধারীরা এনটিআরসিএ অফিসের সামনে রাত্রি যাপন করেন।
শিক্ষক নেতাদের দাবি তাদের জন্য যে চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে তা আজকে ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ইং দুপুর ২.০০ টার মধ্যে অনুমোদন না দিলে মার্চ টু যমুনা পালন করবেন। তাদের দাবি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে এব্যাপারটা দ্রুত সমাধান করা।
১ম থেকে ১২ তম নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন ধারীরা ২০২২ সাল থেকে এ আন্দোলন শুরু করেন।